Thank you for trying Sticky AMP!!

তীব্র গরমে স্বস্তি পেতে ডাবের পানি পান করছেন এক পথিক

তাপপ্রবাহে ডাবের দাম উঠেছে ১৫০ টাকায়

দেশব্যাপী চলছে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ; গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। বেড়েছে পানি ও পানীয়ের চাহিদা। এই পরিস্থিতিতে বেড়েছে ডাবের দাম। রাজধানীতে বড় আকারের ডাবের দাম উঠেছে ১৫০ টাকায়। ছোট আকারের কচি ডাব কিনতে গেলেও গুনতে হচ্ছে ১০০ টাকা বা তার ওপরে।

বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিতে ডাবের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে। ক্রেতারা গরমে পানির চাহিদা মেটাতে ডাব কিনলেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

আজ রোববার রাজধানীর মালিবাগ, মৌচাক, মগবাজার, হাতিরঝিল ও কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, অধিকাংশ ডাবের দাম চাওয়া হচ্ছে ১০০ টাকার ওপরে। বড় আকারের ডাব (আধা লিটারের মতো পানি আছে বলে ক্রেতা বিক্রেতাদের ধারণা) বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। মাঝারি আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। ছোট আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়; দরদাম করলে কোথাও কোথাও একটু কম রাখছেন কোনো বিক্রেতা।

রাজধানীর মগবাজারের ডাব বিক্রেতা মোখলেছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পাইকারিতে ডাবের দাম অনেক বেশি—১০০ ডাব কিনতে গেলে ওপরে দাম পড়ছে ১০ হাজার টাকার ওপরে। এসব ডাব ছোট বড় আলাদা করে বিক্রি হয়; বড় আকারের ডাব বিক্রি হয় ১৫০ টাকায়।

গরমে ডাবের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি বাজারে চড়া দাম দিয়েও ডাব পাচ্ছেন না অনেক বিক্রেতা। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের খুচরা ডাব বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কারওয়ান বাজারের পাইকারি আড়তে ডাব না পেয়ে গতকাল মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে ডাব নিয়ে এসেছি। ডাবের দাম বেশি পড়েছে। ছোট বড় বেছে প্রতিটি ডাব বিক্রি করছি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও এসব ডাবের দাম ১০০ টাকার নিচে ছিল।’

এই দামে ক্রেতারা কিছুটা অসন্তুষ্ট হলেও গরমে পানির চাহিদা মেটাতে ডাব কিনছেন তাঁরা। মৌচাক মোড়ে ডাব খেতে খেতে মো. মিলন নামের এক পথচারী প্রথম আলোকে বলেন, ঈদের আগে রমজানের মধ্যে ৬০ টাকা দিয়ে যে আকারের ডাব কিনেছিলাম; আজ সেই একই আকারের ডাম ১২০ টাকা দিয়ে খেলাম। গরমে আর কিছু তো সেভাবে খাওয়া যাচ্ছে না। সে জন্য দাম দিয়ে হলেও ডাব খেলাম।

এপ্রিলের এ সময়ে বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা থাকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু ১ সপ্তাহ ধরে তা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকছে। গতকাল শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। গড়ে সারা দেশের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল।

এদিকে তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে এর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক সপ্তাহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।