দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম ইউরোপের মূল্যস্ফীতি

প্রতীকী ছবি
ছবি: রয়টার্স

গত বছর মূল্যস্ফীতির কারণে কঠিন সময় পার করেছে ইউরোপ। এক বছর পর সেই ইউরোপে মূল্যস্ফীতির হার দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। এতে যেমন ভোক্তাদের মনে আশাবাদ তৈরি হয়েছে, তেমনি তা অর্থনীতির নীতিনির্ধারকদের মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সূত্রে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ভোক্তাদের প্রত্যাশা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আগুনে দাম থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। আর নীতি প্রণেতারা মনে করছেন, মূল্যস্ফীতির হার কমে আসার কারণে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সুদহার বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা থাকবে না এবং অর্থনীতির পালে আবার হাওয়া লাগবে। নীতি সুদহার এমনিতেই রেকর্ড পর্যায়ে উঠেছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ, আগস্টে যা ছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যানবিষয়ক সংস্থা ইউরোস্ট্যাট গত শুক্রবার এ তথ্য দিয়েছে। কিন্তু বিশ্ববাজারে তেলের দাম আবারও যেভাবে বাড়তে শুরু করেছে, তাতে মূল্যস্ফীতির ২ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রায় নামিয়ে আনতে আরও সময় লেগে যাবে বলেই ধারণা।

তবে ভালো লক্ষণ হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোর ইনফ্লেশন বা খাদ্য ও জ্বালানি–বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার প্রত্যাশাতীত হারে কমেছে; ৫ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে কমে তা ৪ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের ইউরো অঞ্চল–বিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ জ্যাক অ্যালেন রেনল্ডস বলেন, খাদ্য ও জ্বালানি–বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার হ্রাসের মধ্য দিয়ে আবারও বোঝা যাচ্ছে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সুদহার বৃদ্ধির ধারা বন্ধ হতে পারে। তিনি বলেন, বছরের শেষ নাগাদ সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার ৩ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে।