Thank you for trying Sticky AMP!!

দেশে বেকার এখন ২৫ লাখ, পুরুষের তুলনায় নারী অর্ধেক

বেকারত্ব

সর্বশেষ প্রান্তিকে বেকারের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। গত এপ্রিল-জুন সময়ে সব মিলিয়ে দেশে ২৫ লাখ মানুষ বেকার ছিলেন। এর আগের প্রান্তিকে এই সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৯০ হাজার। তিন মাসের ব্যবধানে বেকার কমেছে ৯০ হাজার।

সর্বশেষ ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩–এর এপ্রিল-জুন সময়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এপ্রিল-জুন মাসে আগের প্রান্তিকের চেয়ে বেকারের হার কিছুটা কমে হয়েছে ৩ দশমিক ৪১। এর আগের প্রান্তিকে এই হার ছিল ৩ দশমিক ৫১।

বিবিএস বলছে, এখন বেকারদের মধ্যে ১৬ লাখ ৭০ হাজার পুরুষ ও নারী মাত্র ৮ লাখ ৩০ হাজার।

বেকার লোকের হিসাবটি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সংজ্ঞা অনুযায়ী করে বিবিএস। আইএলওর সংজ্ঞা অনুযায়ী, গত ৩০ দিন ধরে কাজপ্রত্যাশী একজন মানুষ যদি সর্বশেষ সাত দিনে মজুরির বিনিময়ে এক ঘণ্টাও কাজ করার সুযোগ না পান, তাহলে তাঁকে বেকার হিসেবে ধরা হবে।

এ বিষয়ে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এপ্রিল-জুন সময় গ্রামগঞ্জে কাজের সুযোগ বেড়েছে, প্রতিবেদন তাই নির্দেশ করছে। এ সময়ে মৌসুমি পেশায় অনেকে নিয়োজিত থাকেন।

কাজের মধ্যেই নেই কিন্তু বেকার হিসেবে চিহ্নিত হন না, এমন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে। সাধারণ ছাত্র, অসুস্থ, বয়স্ক, কাজ করতে অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত ও গৃহিণীরা এই তালিকায় আছেন। বর্তমানে এমন জনগোষ্ঠী আছেন ৪ কোটি ৭৩ লাখ ২০ হাজার জন। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের চেয়ে প্রায় ১০ লাখ এমন জনগোষ্ঠী বেড়েছে। এ তালিকায় পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা তিন গুণ বেশি।

এপ্রিল-জুন সময়ে জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, এখন দেশে শ্রমশক্তিতে ৭ কোটি ৩২ লাখ ৯০ হাজার মানুষ আছেন। এর মধ্যে কাজে নিয়োজিত আছেন ৭ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার মানুষ।

সার্বিকভাবে কর্মজীবী নারী-পুরুষের মধ্যে ৪ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার পুরুষ ও ২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার নারী।

১ লাখ ২৩ হাজার ২৬৪টি খানা থেকে বছরব্যাপী তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ওই সব তথ্যের ভিত্তিতে শ্রমশক্তি জরিপ করা হয়েছে। গত জানুয়ারি থেকে প্রান্তিকভিত্তিক শ্রমশক্তি জরিপ শুরু করেছে বিবিএস। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পাওয়ার অন্যতম শর্ত হলো প্রান্তিকভিত্তিক শ্রমশক্তি জরিপ করা।