Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনায় তিন মাসে বোয়িংয়ের লোকসান ২৪০ কোটি ডলার

এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে বোয়িংয়ের বিক্রি গত বছরের তুলনায় কমেছে ১ হাজার ১৮০ কোটি ডলার। ছবি: রয়টার্স

তিন মাসে ২৪০ কোটি ডলার লোকসান দিয়েছে মার্কিন বিমান নির্মাণ সংস্থা বোয়িং। এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে কোম্পানিটির বিক্রি গত বছরের তুলনায় কমেছে ১ হাজার ১৮০ কোটি ডলার বা ২৫ শতাংশ। করোনার কারণে চাহিদা কমায় ব্যাপক এই লোকসানে পড়েছে জায়ান্ট কোম্পানি। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বোয়িং বলছে, লোকসানের কারণে ক্ল্যাসিক ৭৪৭ মডেলের বিমান তৈরি বন্ধ করে দেবে তারা। এ ছাড়া বেশ কিছু জেটের উৎপাদন কমাবে তারা, এর মধ্যে রয়েছে ৭৩৭ ম্যাক্স।

বোয়িংয়ের প্রধান ডেভ ক্যালহিও বলেন, ‘বাস্তবতা হলো বিমান খাতে করোনার প্রভাব মারাত্মকভাবে অব্যাহত রয়েছে।’

করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী বিমান সংস্থা তাদের বহর কমিয়ে ফেলে। এই মাসে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ জানায়, তাদের বহরে আর কোনো ৭৪৭ জেট থাকবে না, যা তাদের বহরের প্রায় ১০ শতাংশ। মূলত চাহিদা কমে যাওয়ায় কোম্পানিটি এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়। এর আগে অস্ট্রেলিয়ান এয়ারওয়েজ কানতাসও একই কথা জানায়।

বোয়িং বলছে, জেট উৎপাদন কমালে প্রায় ১৬ হাজার কর্মীকে অব্যাহতি দিতে হতে পারে তাদের, যা তাদের কর্মীর প্রায় ১০ শতাংশ। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে পরিকল্পনা নিয়ে ফেলেছে তারা। ক্যালহিও বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যতের ভালো অবস্থান নিশ্চিত করতে সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

তবে করোনার আগে ৭৩৭ ম্যাক্স নিয়ে বিপাকে ছিল বোয়িং। ওই মডেলের দুটি বড় দুর্ঘটনায় ৩৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ওই মডেল তৈরি বন্ধ করে বোয়িং। এখন তারা বলছে, আবারও ওই মডেলের উড়োজাহাজ তৈরি হলেও উৎপাদন কম হবে।