Thank you for trying Sticky AMP!!

বিটকয়েনে তেল বিক্রি করতে চায় রাশিয়া

ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর পশ্চিমা দেশগুলোর আর্থিক নিষেধাজ্ঞায় ভীষণ বিপাকে পড়েছে রাশিয়া। অর্থনীতি সচল রাখতে নানা রকম চেষ্টা করছে তারা। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কাছে ছাড়ে তেল বিক্রি করছে দেশটি। এখানেই শেষ নয়, এবার তারা বলেছে, বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর কাছে তারা বিটকয়েন বা রুবলে তেল-গ্যাস বিক্রি করবে।

ইউক্রেনে–সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির প্রধান পাভেল জাভালনি বলেন, বন্ধুপ্রতিম দেশের কাছে তেল ও গ্যাস রপ্তানির অর্থ হিসেবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও রুবল গ্রহণের কথা বিবেচনা করছে রাশিয়া। খবর বিবিসির।

এর আগে গত সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, বন্ধুভাবাপন্ন নয়, এমন দেশগুলোর কাছে তারা রুবলে তেল-গ্যাস বিক্রি করতে চায়। ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর রুশ মুদ্রা রুবলের মান ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। মূলত পতনশীল মুদ্রা টেনে ওপরে তুলতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

জাভালনি বলেন, ‘বন্ধু রাষ্ট্র চীন ও তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েনি। আমরা চীনকে অনেক দিন ধরেই প্রস্তাব দিয়ে আসছি—আসুন, আমরা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক লেনদেনে ডলারের পরিবর্তে রুবল ও ইউয়ান ব্যবহার করি। এমনকি তুরস্কের সঙ্গে লিরা ও রুবলের মাধ্যমে লেনদেন নিয়েও কথা হচ্ছে। বিটকয়েন দিয়েও লেনদেন হতে পারে।’

সিঙ্গাপুরের এনার্জি স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ডেভিড ব্রডস্টক বলেন, রাশিয়া খুব দ্রুতই নিষেধাজ্ঞার নেতিবাচক ধাক্কা টের পাচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে লেনদেনের জন্য বিটকয়েন একটি মাধ্যম হতে পারে। চলতি বছর বিটকয়েনের মূল্য ৩০ শতাংশের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। ডলার ও ইউরোর বিপরীতে প্রায় ৫ শতাংশ লেনদেনও হয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে। অবশ্য অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় বিটকয়েনে ঝুঁকি আছে।

রাশিয়া এখন বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানিকারক ও তেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের প্রয়োজনীয় তেল ও গ্যাসের জন্য প্রায় ৪০ শতাংশই রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল।

যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ায় মৌলিক পণ্যের দাম নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। বেশিরভাগ মানুষ মনে করছে, এসব মৌলিক পণ্য আর পাওয়া যাবে না, সে জন্য তারা প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি বেশি কিনছে। তবে বাজারে পণ্যের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি আছেই। সে জন্য দোকানের সামনে রুশ নাগরিকদের দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনতে হচ্ছে।

ডিজিটাল মুদ্রা বিশেষজ্ঞ রস এস ডেলস্টন বলেন, ‘ইতিমধ্যেই রুশ নাগরিকদের মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের প্রবণতা বেড়েছে। ভবিষ্যতের ঝুঁকি এড়াতে তাঁরা বিটকয়েনের ওপর নির্ভর করছেন।’ তিনি বলেন, আমেরিকা এই সমস্যা সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত। কারণ, কয়েক মাস আগেই সে দেশের অর্থ দপ্তরের একটি সতর্কবার্তায় বলা হয়েছিল, ডিজিটাল মুদ্রাগুলো আমেরিকান নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা কমিয়ে দিচ্ছে।