Thank you for trying Sticky AMP!!

৪২তম বিসিএসে উত্তীর্ণদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু সোমবার

৪২তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা ২০২০–এর ফলাফলের ভিত্তিতে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে সাময়িকভাবে নির্বাচিত চার হাজার প্রার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কর্ম কমিশন (পিএসসি)। স্বাস্থ্য পরীক্ষা আগামী সোমবার থেকে শুরু হয়ে চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজধানীর ঢাকার ১০টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে। কেন্দ্রগুলো হলো—ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মহাখালী, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় হৃদ্​রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মহাখালী, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষা প্রতিদিন সকাল সাড়ে আটটায় শুরু হবে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রার্থীদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক গঠিত সংশ্লিষ্ট মেডিকেল বোর্ডের সামনে উপস্থিত হতে হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই ওয়েবসাইট https://www.dghs.gov.bd থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে। পিএসসির নেওয়া প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রবেশপত্রও ছবিসহ সঙ্গে আনতে হবে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর ৪২তম বিশেষ বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এ বিসিএসে উত্তীর্ণ চার হাজার চিকিৎসককে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।

সে সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, প্রথমে ৪২তম বিসিএস থেকে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের কথা থাকলেও সরকারের বিশেষ ক্ষমতায় এখান থেকে আরও দুই হাজার অর্থাৎ মোট চার হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকারের ইচ্ছা, দ্রুত সময়েই এই চিকিৎসকদের নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করে তাঁদের পদায়ন করা। এ বিষয়েও সরকারের বিভিন্ন দপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।

করোনার প্রেক্ষাপটে দুই হাজার চিকিৎসক নেওয়ার জন্য গত বছর ৪২তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় (লিখিত টাইপ) ৩১ হাজার চিকিৎসক অংশ নেন। পরীক্ষার এক মাস পর ২৯ মার্চ এ বিসিএসের ফল প্রকাশ করে পিএসসি, এতে উত্তীর্ণ হন ৬ হাজার ২২ জন।

এরপর করোনার কারণে কয়েক দফায় পেছানো হয় ৪২তম বিসিএসের ভাইভা। পরে চিকিৎসক নিয়োগ দ্রুত করার জন্য বিশেষভাবে কাজ করে পিএসসি।