
মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ, বেতন গ্রেড বৃদ্ধি ও আসন্ন ঈদে শতভাগ উৎসব ভাতাসহ পাঁচ দফা দাবিতে সমাবেশ করেছেন বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা।
আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে দেশের ৬৪ জেলা থেকে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষক অংশ নেন। বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ, বাংলাদেশ সহকারী প্রধান শিক্ষক সমিতি ও বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমিতি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সভায় বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান বলেন, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীরা শতভাগ উৎসব ভাতা পেলেও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা উৎসব ভাতা পান মাত্র ২৫ শতাংশ। প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকদের স্কেল বৈষম্যের দ্রুত সমাধান করা হোক।
কুড়িগ্রাম জেলা থেকে সমাবেশে এসেছেন শিক্ষক আলী আহমেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘দাবি আদায়ে আমরা কুড়িগ্রাম জেলা থেকে প্রায় ২৫০ শিক্ষক এ সমাবেশে এসেছি। সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধায় যে বিস্তর বৈষম্য রয়েছে, তা নিরসন চাই। আশা করি, সরকার দ্রুত এ বৈষম্য দূর করবে।’
সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধায় যে বিস্তর বৈষম্য রয়েছে, তা নিরসন চাই। আশা করি, সরকার দ্রুত এ বৈষম্য দূর করবে।আলী আহমেদ, শিক্ষক
সমাবেশে বক্তারা পাঁচটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মতো বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের যথাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম গ্রেডে বেতন স্কেল প্রদান, বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের চাকরি জীবনে দুটি উচ্চতর গ্রেড প্রদানের সুস্পষ্ট ঘোষণা, আসন্ন ঈদে শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদান, বেসরকারি শিক্ষকদের ঐচ্ছিক বদলি এবং প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগের ব্যবস্থা করা এবং মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা।
বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সব চাকরিতে বদলি ব্যবস্থা থাকলেও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলির ব্যবস্থা নেই। আমরা ঐচ্ছিক বদলি ব্যবস্থা চাই, যার জন্য সরকারের কোনো আর্থিক ব্যয় বাড়বে না।’