
ক্যারিয়ার–সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক সময়ই চাপের হয়ে ওঠে। চাকরি বদল, বেতন নিয়ে দর–কষাকষি ও নতুন প্রজেক্টে যুক্ত হওয়া কিংবা নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে এই দ্বিধা আরও প্রকট হয়। এমন পরিস্থিতিতে লিংকডইনে আলোচনায় এসেছে একটি নতুন সিদ্ধান্তমূলক পদ্ধতি—‘১০–১০–১০ নিয়ম’। জেনে নেওয়া যাক ক্যারিয়ারের জন্য কেমন হবে এই ১০–১০–১০ নিয়ম।
১০–১০–১০ নিয়ম কী?
এই নিয়ম মূলত তিনটি সহজ প্রশ্নের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে:
১. ১০ দিনের মধ্যে এটি কেমন প্রভাব ফেলবে?
২. ১০ মাসের মধ্যে এর কী প্রভাব পড়বে?
৩. ১০ বছরের মধ্যে এর কি গুরুত্ব থাকবে?
এই নিয়ম প্রথমে ২০০৯ সালে লেখক ও ব্যবসায়িক লেখক সুজি ওয়েলচ তাঁর বই ‘১০–১০–১০: আ লাইফ–ট্রান্সফরমিং আইডিয়া’–এ উপস্থাপন করেছিলেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি আবেগকে সাময়িক দূরে সরিয়ে বাস্তবমূলক ও দীর্ঘমেয়াদি দিক বিবেচনা করতে সাহায্য করে।
কেন কার্যকর এই নিয়ম?
সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আমরা স্বল্পমেয়াদি উদ্বেগে আটকে যাই। ১০–১০–১০ নিয়ম সেই চক্র ভেঙে দেয় এবং তিনটি সময়সীমার মধ্যে ভাবতে শেখায়:
১০ দিন: আবেগ ও মানসিক প্রভাব যাচাই করা।
১০ মাস: প্র্যাকটিক্যাল ও মাঝারি মেয়াদি ফলাফল দেখা।
১০ বছর: দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য ও জীবনের সঙ্গে সামঞ্জস্য যাচাই।
লিংকডইনে ট্রেন্ডিং
এই নিয়ম বিশেষভাবে তরুণ পেশাজীবীদের মধ্যে জনপ্রিয়। লিংকডইন পোস্ট ও ক্যারিয়ার ফোরামে ব্যবহারকারীরা উল্লেখ করেছেন, ক্যারিয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে এই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ—
নতুন চাকরি গ্রহণ নিয়ে দ্বিধায় থাকলে, ভাবুন—
১০ দিনে: নতুন রুটিনে মানিয়ে নিতে উদ্বেগ থাকবে।
১০ মাসে: নতুন দক্ষতা অর্জন, বেতন বৃদ্ধি ও পরিচিতি বাড়বে।
১০ বছরে: সাময়িক অস্বস্তি ভুলে গিয়ে দীর্ঘমেয়াদি ক্যারিয়ার গঠনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তরুণ পেশাজীবীদের জন্য এই নিয়ম বিশেষভাবে কার্যকর। কারণ, এটি সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি দেয় এবং আবেগজনিত বিভ্রান্তি কমায়।