সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ের সামনে ৪৪তম বিসিএসে চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা মানববন্ধন করেন
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ের সামনে ৪৪তম বিসিএসে চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা মানববন্ধন করেন

৩ দফা দাবিতে ৪৪তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ক্যাডারদের মানববন্ধন

ইকবাল হোসেন বেসরকারি ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে আস্থা রেখেছিলেন দেশের অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক সরকারি পরীক্ষায়। কিন্তু দীর্ঘসূত্রতার কারণে এখন বেকার বসে আছেন তিনি। প্রায় একই রকম সমস্যায় পড়েছে ৪৪তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হাজারো চাকরিপ্রার্থী। চাকরি পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েও সরকারি লাল ফিতার দৌরাত্ম্য প্রায় চার মাস ধরে ঝুলে আছে তাঁদের নিয়োগপ্রক্রিয়া।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ের সামনে ৪৪তম বিসিএসে চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা মানববন্ধন করেছেন। তাঁরা দ্রুত গেজেট কার্যক্রম শুরু করা, রিপিট ক্যাডারের বিধি সংশোধনের ব্যাখ্যা এবং চলতি বছরের মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জোর দাবি জানিয়েছেন।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া একজন সুপারিশপ্রাপ্ত ক্যাডার বলেন, ‘প্রথমত আমাদের মানবিক দিকটি সরকারকে বিবেচনায় নিতে হবে। রিপিট ক্যাডারদের সম্মতির ভিত্তিতে তাঁদের বাদ দিয়ে মেধাক্রম অনুযায়ী পরবর্তী প্রার্থীদের সুপারিশ করা উচিত। ফলাফল প্রকাশের প্রায় চার মাস অতিবাহিত হয়েছে। প্রশাসনিক জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে ১ হাজার ৬৯০ প্রার্থী নিদারুণ মানসিক চাপ নিয়ে দিন যাপন করছেন।’

৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি হয়েছিল ২০২২ সালের ২৭ মে। উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ৭০৮ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১১ হাজার ৭৩২ জন। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চলতি বছরের ৩০ জুন ১ হাজার ৬৯০ প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া চাকরিপ্রার্থীরা জানান, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ইতিমধ্যেই তিন বছর সাত মাস পার হয়েছে। ইতিহাসের দীর্ঘতম বিসিএসের রূপ নিতে যাচ্ছে এই ৪৪তম বিসিএসের নিয়োগ কার্যক্রম। এটি কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।
প্রার্থীরা মানববন্ধন থেকে তিনটি দাবি জানিয়েছেন। এক, ফাইল গেজেট কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা; দুই, ফল প্রকাশের পর আটকে থাকা রিপিট ক্যাডারের বিধি সংশোধনের দ্রুত ব্যাখ্যা প্রদান; তিন, চলতি বছরের মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা।

৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২২ সালের ২৭ মে। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ৭০৮ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১১ হাজার ৭৩২ জন। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চলতি বছরের ৩০ জুন ১ হাজার ৬৯০ প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়।

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। পিএসসি সব কাজ শেষ করে উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে।