
করোনা মহামারীর কারণে ছিল নানা শঙ্কা। ছিল দুশ্চিন্তা! কিন্তু সব দুশ্চিন্তা ও শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় চমকপ্রদ ফল অর্জন করেছে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ।
২০২১ সালের এইচ এস সি পরীক্ষায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের মোট ২৪৮৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৪৬০ জন, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ১০১ জন এবং মানবিক বিভাগ থেকে ৩৪ জনসহ মোট ১৫৯৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ (এ+) অর্জন করেছে। জিপিএ ফাইভ (এ+) পেয়েছে মোট শিক্ষার্থীর ৬৪%, পাসের হার শতকরা ৯৯.৮৪% ।
কলেজের অধ্যক্ষ জনাব মোঃ ওবায়দুল্লাহ নয়ন বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা থেকে অনেকটা দূরে সরে গিয়েছিল। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি, পারিবারিক পরিস্থিতি ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা ছিলো অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং! তবুও আমাদের প্রতিষ্ঠানে আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক অনলাইন ক্লাস নিয়েছি, শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত অনলাইনে ক্লাস করেছে। নতুন পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত আমরা নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করেছি। যার ফলে আজকের এই অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। আমি শিক্ষার্থীদের এই সাফল্যের জন্য সম্মানিত শিক্ষক ও অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানাই। তারা সবসময় শিক্ষার্থীদেরকে আমাদের সাথে সমন্বয় করে লেখাপড়ার মধ্যে রেখেছেন।‘
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ব্যাপারে আমরা বরাবর-ই আপোষহীন। সুষ্ঠু পরিকল্পনা, কঠোর শৃঙ্খলা এবং অধ্যবসায় আমাদের এগিয়ে চলার মূল চাবিকাঠি। নিয়মিত পাঠদান ও তদারকি, শিক্ষকমন্ডলীর আন্তরিকতা ও শিক্ষার্থীদের গভীর অধ্যবসায় দিয়েই প্রতিকূল পরিবেশেও আমরা বিজয় এনেছি।’
জিপিএ-৫ প্রাপ্ত আনিকা ইসলাম, ‘আমি ও আমার সহপাঠী সবাই জিপিএ ৫ পেয়েছি। এই অনুভূতি অন্যরকম। পরীক্ষা হওয়ায় আমরা আমাদের মেধার প্রমাণ দিতে পেরেছি। এই পরিস্থিতিতেও পরীক্ষা দিয়ে যে আমরা এত ভালো রেজাল্ট করেছি, ভবিষ্যতে এটি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’
আরেক শিক্ষার্থী নাভিদ আলতাফ বলেন, ‘আজকের এই প্রাপ্তি আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ অর্জন। বাবা-মায়ের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। স্যারদের নিরলস চেষ্টা, প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-কানুন ও বাবা-মায়ের পরিশ্রমে আজকে আমার এই অর্জন। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’
অভিভাবক ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘আমার সন্তন কলেজে অনলাইন ক্লাসেও অনুপস্থিত থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তা এস এম এসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হত। শিক্ষার্থীর সব বিষয় অভিভাবকদের নখদর্পণে দিয়ে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। করোনা মহামারীর এই পরিস্থিতিতেও প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীল ভূমিকায় আমি মুগ্ধ ও অভিভূত।’
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে তাঁর স্বপ্নের কথা জানিয়ে বলেন, ‘অনেক স্বপ্ন আর আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে কলেজটির যাত্রা শুরু করি।সবার সহযোগিতায় ও শিক্ষকমন্ডলীর আন্তরিক পাঠদান আর শিক্ষার্থীদের পরিশ্রমে দেশের নামীদামী অনেক প্রতিষ্ঠানকে পিছনে ফেলে প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে চলেছে। এই অপ্রগতি অব্যাহত থাকবে।’