Thank you for trying Sticky AMP!!

দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাস, অভিজ্ঞ শিক্ষক আমাদের শক্তি

অধ্যাপক মুহাম্মাদ আলী নকী

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে শুরু থেকেই মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে মধ্যম মানের টিউশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস শুরুতেই শিক্ষার্থীর নজর কাড়ে, স্বপ্ন দেখতে সাহস জোগায়। ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীতে সাত বিঘার বেশি জমির ওপর খোলামেলা পরিবেশে আমাদের দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাস আরও বিস্তারের জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী উন্নয়নকাজ চলছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মানের পাঠ্যক্রমে পাঠদান করি। সে জন্য রয়েছেন বিশেষজ্ঞ শিক্ষক। ২৪২ জন শিক্ষকের মধ্যে ২৯ জন পিএইচডি ডিগ্রিপ্রাপ্ত।

বিশিষ্ট বিজ্ঞান গবেষক, বুয়েটের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. এম ফিরোজ আহমদ, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহমেদ, একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, চলচ্চিত্র পরিচালক মতিন রহমান, শিক্ষাবিদ কাজী আব্দুল মান্নান এবং পরিবেশবিদ ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদারের মতো শিক্ষকেরা এখানে পাঠদান করছেন।

নিয়োগ দেওয়ার পর শিক্ষকদের জন্য মাসব্যাপী একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)। শিক্ষকেরা সেখানে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পান। পরবর্তী সময়ে আরও নানা প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয় ও উচ্চশিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন বিভাগের ৬৬ জন শিক্ষক এখন উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছেন।

স্টামফোর্ডে ১৪টি বিভাগের মধ্যে ৬টি বিভাগই বিভিন্ন ইনস্টিটিউট কর্তৃক স্বীকৃত; যেটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। উচ্চশিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে একজন শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে স্টামফোর্ড একাডেমিক পড়ালেখার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সেই উদ্দেশ্যেই আছে ২০টি ফোরাম। নিয়মিত বিতর্কচর্চার জন্য স্টামফোর্ড ডিবেট ফোরামের বেশ সুনাম আছে। স্টামফোর্ড অ্যান্টি ড্রাগ ফোরাম মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এটিই প্রথম মাদকবিরোধী ক্লাব।

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যুক্ততা বা এমওইউ আছে। যেমন এনভায়রনমেন্টাল কোয়ালিটি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কনসাল্টিং লিমিটেড, চীনের নাংঝোউ জিয়াটং ইউনিভার্সিটি, ফিনল্যান্ডের টেম্পেরা ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া, জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটি অব অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি ইত্যাদি। পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেন্টারের অধীন বেশ কয়েকটি গবেষণাকাজ চলছে। আমাদের এখান থেকে পাস করে অনেক শিক্ষার্থী দেশ-বিদেশে পিএইচডি করছে। পাশাপাশি তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন নামী প্রতিষ্ঠানে সুনামের সঙ্গে কর্মরত। অনেক শিক্ষার্থী পাস করার পর এ বিশ্ববিদ্যালয়েই যোগ দিয়েছে শিক্ষক বা কর্মকর্তা হিসেবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে দেশ গঠনে আরও জোরালো ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।

কঅধ্যাপক মুহাম্মাদ আলী নকী

উপাচার্য, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ