
গাণিতিক প্রতীক: গণিতে যে বিভিন্ন ধরনের সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তাকে গাণিতিক প্রতীক বলে। যেমন: সংখ্যা প্রতীক: ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯
প্রক্রিয়া প্রতীক: + (যোগ), — (বিয়োগ), × (গুণ), ÷ (ভাগ)
সম্পর্ক প্রতীক: = (সমান), > (বড়), < (ছোট), ≠ (সমান নয়), ≥ (বড় অথবা সমান), ≤ (ছোট অথবা সমান), > (বড় নয়), < (ছোট নয়)
বন্ধনী প্রতীক: () (প্রথম বন্ধনী), { } (দ্বিতীয় বন্ধনী), [ ] (তৃতীয় বন্ধনী),
অক্ষর প্রতীক বা বিশেষ প্রতীক: ক, খ, গ, ⃞ , ∆ ইত্যাদি।
অজানা সংখ্যা বা রাশি নির্দেশ করতে এসব প্রতীক ব্যবহার করা হয়।
খোলা বাক্য: কোনো বাক্য যখন সত্য না মিথ্যা নির্ণয় করা যায় না, তখন তাকে খোলা বাক্য বলে। যেমন:
(ক+৩) × ৬ = ৪৮, এটি একটি খোলা বাক্য।
গাণিতিক বাক্য বা বন্ধ বাক্য: যখন কোনো বাক্য সত্য না মিথ্যা তা নির্ণয় করা যায়, তখন তাকে গাণিতিক বাক্য বা বন্ধ বাক্য বলে। যেমন: ৬ একটি জোড় সংখ্যা: এটি সত্য এবং এটি একটি গাণিতিক বাক্য।
৭ একটি জোড় সংখ্যা: এটি মিথ্যা এবং এটিও একটি গাণিতিক বাক্য।
আরেকটু বলি, ক একটি বিজোড় সংখ্যা: এটি সত্য হতে পারে, আবার মিথ্যাও হতে পারে, এটি ‘ক’ এর মানের ওপর নির্ভর করে। ফলে এটি একটি খোলা বাক্য।
সংখ্যা রাশি: কতিপয় সংখ্যাকে প্রক্রিয়া চিহ্ন এবং প্রয়োজনে বন্ধনী দ্বারা যুক্ত করলে একটি সংখ্যারাশি তৈরি হয়।
১. নিচের বাক্যগুলোকে গাণিতিক বাক্যে প্রকাশ করো এবং খোলা বাক্য ও গাণিতিক বাক্য শনাক্ত করো।
১) ৯ কে ৭ দ্বারা গুণ করলে গুণফল ৮০ হয়
এখানে, ৯ × ৭ = ৮০
বাক্যটিতে অজানা কোনো অক্ষর প্রতীক নেই। অতএব, এটি একটি গাণিতিক বাক্য এবং এটি মিথ্যা।
কারণ, ৯ × ৭ = ৬৩
∴ ৯ × ৭ ≠ ৮০
২) ৪২ থেকে ক বিয়োগ করলে ৩৫ হয়।
এখানে,
৪২ – ক = ৩৫
বাক্যটিতে অজানা প্রতীক ‘ক’ আছে।
∴ এটি একটি খোলা বাক্য।
৩) ১২০ কে ৪০ দ্বারা ভাগ করলে ভাগফল ৩ হয় এখানে,
১২০ ÷ ৪০ = ৩
এটি একটি গাণিতিক বাক্য এবং এটি সত্য।
বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকাল