রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে। এতে ভর্তি পরীক্ষার নির্ধারিত আসনসংখ্যার তুলনায় ৭ হাজার আবেদন কম পড়েছে। গতকাল বুধবার মধ্যরাতে তিনটি পর্যায়ে চূড়ান্ত আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক মো. বাবুল ইসলাম এসব তথ্য প্রথম আলোকে জানান।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’ (মানবিক), ‘বি’ (ব্যবসায় শিক্ষা) ও ‘সি’ (বিজ্ঞান) ইউনিটে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার করে মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। তবে শেষ পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটে ৪৩ হাজার ৫৫৮, ‘বি’ ইউনিটে ৩৯ হাজার ৮৯৫ এবং ‘সি’ ইউনিটে ৪৪ হাজার ১৯৪টি চূড়ান্ত আবেদন জমা পড়েছে। এতে সব মিলিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে ৭ হাজার ৩৫৩ আসন ফাঁকাই থাকছে।
চূড়ান্ত আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের আগামী ২৭ মে থেকে ২ জুনের মধ্যে অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করে নিতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার যাবতীয় তথ্য https://admission.ru.ac.bd/undergraduate/ ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
অধ্যাপক বাবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ভর্তি পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের আসনবিন্যাস (সিট প্ল্যান) পরে প্রকাশ করা হবে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করে নিতে হবে।
আগামী ১৪ জুন ‘সি’ ইউনিট, ১৫ জুন ‘এ’ ইউনিট এবং ১৬ জুন ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে । প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা প্রতিদিন তিনটি পালায় (শিফট) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে থেকে সাড়ে ১০টা, দুপুর ১২টা থেকে ১টা এবং বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৪ হাজার ১৯১টি আসনে তিনটি ইউনিটে পরীক্ষা হবে। ‘এ’ (কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট) ইউনিটে আসন ২ হাজার ১৯টি, ‘বি’ (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ও ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট) ইউনিটে ৫৬০টি এবং ‘সি’ (কৃষি ও বিজ্ঞান অনুষদ) ইউনিটে ১ হাজার ৬১২ আসন রয়েছে । প্রতিটি ইউনিটকে তিনটি আলাদা পালায় ভাগ করা হবে। তিন সপ্তাহজুড়ে তিন দিনে তিনটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এবার ১০০ নম্বরের বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পাঁচটি ভুল উত্তরের জন্য ১ নম্বর কাটা পড়বে। পরীক্ষায় নূন্যতম পাশ নম্বর ৪০।এবার কেবল ২০২০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা কেবল এমসিকিউ প্রশ্ন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। এবার থাকবে না লিখিত পরীক্ষা। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন না।