
ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।
অনলাইনে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া ২১ নভেম্বর বেলা ১১টায় শুরু হয়ে আগামী ৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে।
শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বিদ্যালয় থেকে কোনো ভর্তির ফরম বিতরণ করা হবে না।
ভর্তির আবেদন শুধু অনলাইনে এ ঠিকানায় পাওয়া যাবে।
২০২৬ সালের ভর্তির আবেদন ফি ১০০ টাকা, যা শুধু টেলিটক প্রিপেইড মুঠোফোন থেকে এসএমএসের মাধ্যমে প্রদান করা যাবে।
১. সারা দেশের আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে থানাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে।
২. এ ক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ ‘পাঁচটি’ বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে।
৩. ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে ‘দুটি পছন্দক্রম’ (দুটি বিদ্যালয় পছন্দক্রম) সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে।
৪. একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট ‘দ্বিতীয়বার’ পছন্দ করা যাবে না।
১. ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠেয় ডিজিটাল দৈবচয়ন প্রক্রিয়ার কার্যক্রমে সারা দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে অংশগ্রহণ করতে হবে।
২. শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে দৈবচয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিষ্পন্ন করা ব্যতীত অন্য কোনো পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না।
৩. জাতীয় শিক্ষানীতি–২০১০ ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ছয় বছরের বেশি নির্ধারণ করতে হবে।
৪. তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স পাঁচ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত হবে। (যেমন ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সময় কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন পাঁচ বছর হবে অর্থাৎ সর্বনিম্ন জন্মতারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা সাত বছর পর্যন্ত অর্থাৎ জন্মতারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত)।
৫. পরবর্তী শ্রেণিগুলোয় বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে।
৬. শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
৭. বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে।
১. সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক বা কর্মচারীদের ভর্তির উপযুক্ত সন্তান সংখ্যার সমসংখ্যক অতিরিক্ত আসন নিজ নিজ বিদ্যালয়ে সংরক্ষিত থাকবে। এ ক্ষেত্রে তাঁদের অনলাইনে আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
২. তবে শিক্ষক বা কর্মচারী মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তাঁর ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালিকা হলে কাছের সরকারি বালিকা বা সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে।
৩. শিক্ষক বা কর্মচারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তাঁর ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালক হলে কাছের সরকারি বালক বা সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে।
৪. একইভাবে শিক্ষক বা কর্মচারী যদি সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকেন, তাহলে তাঁর ভর্তি উপযুক্ত সন্তানের ভর্তির জন্য কর্মরত বিদ্যালয়েই অতিরিক্ত আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে।
৫. তবে কর্মরত বিদ্যালয়ে ভর্তির উপযুক্ত কাঙ্ক্ষিত শ্রেণি না থাকলে কাছের বালক বা বালিকা বা সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) অতিরিক্ত আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে।
সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়ার তারিখ, সময় ও স্থান পরে জানানো হবে।
ভর্তির তথ্য ও বিস্তারিত নিয়মাবলি www.dshe.gov.bd এর secondary circular/order ও www.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।
# বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট