রুয়েটে ১২৩৫ আসনে ভর্তি-ইচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিকেরা আবেদন করতে পারবেন
রুয়েটে ১২৩৫ আসনে ভর্তি-ইচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিকেরা আবেদন করতে পারবেন

রুয়েটের ভর্তিতে বিজ্ঞপ্তি, আসন ১২৩৫, পদ্ধতিসহ জেনে নিন বিস্তারিত

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ২ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ভর্তি পরীক্ষার আবেদন অনলাইনে শুরু হবে।

গত মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ সেশনের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিআর্ক কোর্সে ভর্তি–ইচ্ছুক প্রার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে আবেদনপত্র আহ্বান করা যাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পুরকৌশল, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল এবং যন্ত্রকৌশল অনুষদে সর্বমোট ১৪টি বিভাগে ১ হাজার ২৩৫টি আসনে স্নাতক শ্রেণিতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি-ইচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিকেরা আবেদন করতে পারবেন।

১. বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা—

ক) প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।

খ) প্রার্থীকে বাংলাদেশের যেকোনো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড অথবা কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ২০২২ অথবা ২০২৩ সালের মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ–৪ অথবা সমতুল্য গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।

গ) প্রার্থীকে বাংলাদেশের যেকোনো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড অথবা কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উচ্চতর গণিত, পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন—এই তিন বিষয়ে মোট ন্যূনতম জিপি–১৪ পেতে হবে।

ঘ) প্রার্থী জিসিই ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় পাস করে থাকলে তার ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য জিসিই ‘ও’ লেভেল পরীক্ষায় কমপক্ষে পাঁচটি (গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও ইংরেজি সহ) বিষয়ে ন্যূনতম ‘বি’ গ্রেড পেয়ে পাস করতে হবে। জিসিই ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিদ্যা ও রসায়নে পৃথক পৃথকভাবে কমপক্ষে ‘বি’ গ্রেড পেয়ে পাস হতে হবে। উল্লেখ্য, প্রার্থীকে ২০২৪ সালের নভেম্বর বা তার পরে ‘এ’ লেভেল সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত হতে হবে।

ঙ) কমপক্ষে ১২ শিক্ষাবর্ষ অধ্যয়নকাল থাকা সাপেক্ষে বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীর ক্ষেত্রে গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও ইংরেজি বিষয়ের প্রতিটিতে আলাদাভাবে ৮০ শতাংশ নম্বর বা সমমানের গ্রেড পেতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় গড়ে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ নম্বর বা সমমানের গ্রেড পেতে হবে।

আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রথম ১৯ হাজারজন প্রার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে

২। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী নির্বাচন যেভাবে

(ক) নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত সব বৈধ আবেদনপত্রের মধ্য থেকে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উচ্চতর গণিত, পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন—এই তিন বিষয়ে প্রাপ্ত মোট গ্রেড পয়েন্টের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রথম ১৯ হাজারজন প্রার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে ১৯ হাজারতম প্রার্থী একাধিক হলে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় যথাক্রমে উচ্চতর গণিত, পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন—এই তিন বিষয়ে পৃথক পৃথকভাবে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য প্রার্থীর সংখ্যা চূড়ান্ত করা হবে।

(খ) উল্লেখিত শর্তাবলি পূরণ সাপেক্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে।

(গ) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বিবেচিত আবেদনকারীদের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

আবেদনের গুরুত্বপূর্ণ তারিখ

  • আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ ও জমাদান শুরু: ২ ডিসেম্বর ২০২৫ সকাল ১০টা।

  • আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ ও জমাদান শেষ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ বিকেল ৫টা।

  • আবেদন ফি জমা দেওয়ার শেষ সময়: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ দুপুর ১২টা।

  • ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য আবেদনকারীদের নামের তালিকা প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ: ৩ জানুয়ারি ২০২৬ বিকেল ৫টা

  • ভর্তি পরীক্ষার জন্য আসনবিন্যাস প্রকাশ: ৬ জানুয়ারি ২০২৬ বিকেল ৫টা

  • প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু: ১০ জানুয়ারি ২০২৬ বিকেল ৫টা

ভর্তি পরীক্ষা কবে

  • ‘ক’ ও ‘খ’ দুই গ্রুপের ভর্তি পরীক্ষা: ২২ জানুয়ারি ২০২৬। ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা। পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে।

  • ‘খ’ গ্রুপের মুক্তহস্ত অঙ্কন (ফ্রিহ্যান্ড ড্রয়িং) এবং দৃষ্টিগত ও স্থানিক ধীশক্তি (ভিজ্যুয়াল স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স) পরীক্ষা ওই দিনই দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট থেকে বেলা ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত।

  • ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৬

  • ওএমআর সিট পূরণের ক্ষেত্রে শুধু কালো কালির বল পয়েন্ট পেন ব্যবহার করা যাবে।

  • প্রতিটি প্রশ্নের ভুল উত্তরের জন্য প্রশ্নে বরাদ্দকৃত নম্বরের ২৫ শতাংশ নম্বর কর্তন হবে।

অনুষদভিত্তিক বিভিন্ন বিভাগ হলো

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং–১৮০ আসন, আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্লানিং–৬০ আসন, আর্কিটেকচার ৩০ আসন, বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট ৩০ আসন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ১৮০ আসন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ১৮০ আসন, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ৬০ আসন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ৬০ আসন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ১৮০ আসন, ইন্ডাট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ৬০ আসন, সিরামিক অ্যান্ড মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ৬০ আসন, মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং ৬০ আসন, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ৩০ আসন, ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ৬০ আসনসহ মোট আসন ১ হাজার ২৩০টি।

  • সংরক্ষিত আসন ৫টি। (বান্দরবান জেলার অধিবাসী ১টি, পার্বত্য জেলাসমূহ ও অন্যান্য এলাকার উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও নৃগোষ্ঠী ৪টি)।

  • উল্লেখ্য, আর্কিটেকচার বিভাগে ৫ বছর মেয়াদি এবং অন্যান্য বিভাগে ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

ভর্তি পরীক্ষার ফি কত

ওয়েবসাইটে প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করে ভর্তি পরীক্ষার ফি প্রদানপূর্বক জমা দিতে হবে।

‘ক’ গ্রুপের ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইউআরপি বিভাগের আবেদন ফি ১ হাজার ৩০০ টাকা এবং ‘খ’ গ্রুপের ইঞ্জিনিয়ারিং, ইউআরপি ও আর্কিটেকচার বিভাগের আবেদন ফি ১ হাজার ৫০০ টাকা।

ভর্তি পরীক্ষার বিষয় ও পাঠ্যসূচি

‘ক’ গ্রুপ: ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার পাঠ্যসূচির উচ্চতর গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও ইংরেজি

‘খ’ গ্রুপ: ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার পাঠ্যসূচির উচ্চতর গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও ইংরেজি।

‘খ’ গ্রুপের মুক্তহস্ত অঙ্ক (ফ্রিহ্যানআড ড্রয়িং) এবং দৃষ্টিগত ও স্থানিক ধীশক্তি (ভিজ্যুয়াল স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স) পরীক্ষার পাঠ্য উন্মুক্ত।

ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র

‘ক’ গ্রুপের পরীক্ষাকেন্দ্র ১. রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), ২. বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।

‘খ’ গ্রুপের পরীক্ষাকেন্দ্র: রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)।

ভর্তি পরীক্ষার ধরন, বিষয়, প্রশ্নপত্রের ধরন ও নম্বরের বিন্যাস যেভাবে

ভর্তি পরীক্ষা এমসিকিউ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। ওএমআর শিটে উত্তর প্রদান করতে হবে

ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ‘ক’ ও ‘খ’ উভয় গ্রুপের জন্য সর্বমোট ৪০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘খ’ গ্রুপে ভর্তি-ইচ্ছুক প্রার্থীদের অতিরিক্ত ২০০ নম্বরের মুক্তহস্ত অঙ্কন (ফ্রিহ্যান্ড ড্রয়িং) এবং দৃষ্টিগত ও স্থানিক ধীশক্তি (ভিজ্যুয়াল স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

  • প্রতিটি প্রশ্নের ভুল উত্তরের জন্য প্রশ্নে বরাদ্দকৃত নম্বরের ২৫ শতাংশ নম্বর কর্তন হবে

  • প্রতিটি গ্রুপের পরীক্ষার বিষয় এবং বিষয়সমূহের পূর্ণমান নিচের ছকে অনুযায়ী হবে— (এখানে ছক বসবে)

* আবেদনের আরও বিস্তারিত জানতে দেখুন ভর্তি বিজ্ঞপ্তি