জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, কেরানীগঞ্জ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, কেরানীগঞ্জ

দ্বিতীয় ধাপে জগন্নাথের ৫০০ ছাত্রের আবাসনের ব্যবস্থা করবে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘মেধাবী’ প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীদের হলে আসন বরাদ্দে দ্বিতীয় ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হল–০১ ও মেধাবী প্রকল্পের হাসনাবাদ শাখার হল প্রাধ্যক্ষ মুহম্মদ আসাদুজ্জামান সাদী স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘মেধাবী’ প্রকল্পে দ্বিতীয় ধাপে ৫০০ জন ছাত্রের আবাসনের লক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের (২০তম ব্যাচ, প্রথম বর্ষ) আগ্রহী ছাত্রদের ৩ জুলাইয়ের মধ্যে গুগল লিংক এবং সরাসরি আবেদন ফরমে আবেদন করতে বলা হলো।

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘মেধাবী’ প্রকল্পের সমন্বয়ক (কো-অর্ডিনেটর) মামুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং তাঁদের আর্থিক সমস্যার কথা বিবেচনা করে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন দ্বিতীয় ধাপে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ৫০০ জন ছাত্রের আবাসনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগামী ৩ জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইন এবং অফলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন যাচাই-বাছাই করে ৬ জুলাই থেকে তাঁদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হবে। সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ১ আগস্ট থেকে মেধাবী প্রকল্পের আবাসনে উঠতে পারবেন।

আসন বরাদ্দ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা ফি দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মেধাবী’ প্রকল্পের ১ জন শিক্ষার্থীর জন্য প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা ব্যয় হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ প্রদান করবে, বাকি টাকা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন থেকে স্কলারশিপ হিসেবে প্রদান করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকার পোর্ট কনটেইনার রোডে একটি ১০ তলা ভবন অস্থায়ী আবাসন হিসেবে বরাদ্দ করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন এ–সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই করে।

চুক্তি অনুযায়ী, কেরানীগঞ্জের বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রজেক্ট এলাকায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন প্রাথমিকভাবে ৭০০ শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা করবে। পর্যায়ক্রমে এই সংখ্যা পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীতে উন্নীত করা হবে।

চুক্তিপত্রে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবন থেকে একাডেমিক ভবনে পরিবহনের ব্যবস্থা করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।