
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়: সংক্ষিপ্ত উত্তর–প্রশ্ন
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে ২ নম্বর প্রশ্ন থাকবে সংক্ষিপ্ত উত্তর–প্রশ্নের ওপর।
প্রশ্ন: দ্বৈতশাসন বলতে কী বোঝ?
উত্তর: বক্সারের যুদ্ধের পর ১৭৬৫ সালে মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গভর্নর রবার্ট ক্লাইভের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। ক্লাইভ বাংলার নবাবের ওপর শাসন ও বিচার বিভাগের দায়িত্ব অর্পণ করেন এবং প্রতিরক্ষার দায়িত্ব ন্যস্ত করেন কোম্পানির ওপর। এ ব্যবস্থাকে দ্বৈতশাসন বলে।
প্রশ্ন: ‘দ্বৈতশাসন ছিল বাঙালির জন্য চরম অভিশাপ’—ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: দ্বৈতশাসনের কারণে রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব পেয়ে ইংরেজ শাসকেরা প্রজাদের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপ করার পাশাপাশি তা আদায়ে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেন। একই সময়ে দেশে পরপর তিন বছর অনাবৃষ্টির কারণে ১৭৭০ (বাংলা ১১৭৬) সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ইতিহাসে এ দুর্ভিক্ষ ‘ছিয়াত্তরের মন্বন্তর’ নামে পরিচিত। এ দুর্ভিক্ষে বাংলার মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশের মৃত্যু হয়। এসব কারণে দ্বৈতশাসনকে বাঙালির জন্য ‘চরম অভিশাপ’ বলা হয়।
প্রশ্ন: ‘ছিয়াত্তরের মন্বন্তর’ কাকে বলে?
উত্তর: ১৭৭০ সালে (বাংলা ১১৭৬) ‘ছিয়াত্তরের মন্বন্তর’ হয়েছিল। ইংরেজদের অতিরিক্ত করের চাপে যখন জনগণ ও কৃষকের নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা, সেই সময় দেশে পরপর তিন বছর অনাবৃষ্টির কারণে খরায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এর ফলে বাংলায় দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হয়, যা ‘ছিয়াত্তরের মন্বন্তর’ নামে পরিচিত।
প্রশ্ন: বারো ভূঁইয়া সম্পর্কে যা জানো, তা লেখো।
উত্তর: বারো ভূঁইয়া নামে পরিচিত ছিলেন পূর্ববাংলার জমিদারেরা। তাঁদের প্রতিরোধের কারণে বাংলার পূর্বাংশ মোগলরা সহজে দখল করতে পারেনি। আকবরের সেনাপতি মানসিংহ কয়েকবার চেষ্টা করেও বারো ভূঁইয়াদের নেতা ঈশা খাঁকে পরাজিত করতে পারেননি। ফলে মোগলরা সহজে বাংলা দখল করতে পারেনি।
মিজানুর রহমান, শিক্ষক
ধানমন্ডি সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকা