জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের ছাত্রদের প্রথম পালার ভর্তি পরীক্ষা আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে শুরু হয়েছে। এরপর ছাত্রদের আরও তিনটি পালায় পরীক্ষা হবে বিকেল সোয়া চারটা পর্যন্ত। পরদিন আগামীকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে একই ইউনিটের ছাত্রীদের পরীক্ষা পাঁচ পালায় অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, আজ এবারের ভর্তি পরীক্ষার তৃতীয় দিনে সকাল ৯টায় সি-১ ইউনিটের (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগভুক্ত) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটে ছাত্রছাত্রী মিলে ৩১০ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৭০ হাজার ২২৩ ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী। সে হিসাবে প্রতি আসনে ২২৬ আবেদনকারী শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আজ সি-১ এবং ডি দুটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা থাকায় সকাল আটটা থেকে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা নির্ধারিত কেন্দ্রের সামনে আসতে শুরু করেন। পরে সকাল পৌনে ৯টায় পরীক্ষাকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা সারিবদ্ধভাবে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। তবে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময় পরীক্ষার্থীদের মুঠোফোন, ক্যালকুলেটরসহ মেমোরিযুক্ত অন্য কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জীববিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে ডি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কোনো কেন্দ্র থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। যেকোনো ধরনের সংগতির খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’
এদিকে অভিভাবকদের ও পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমাতে দেশের অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা যখন দেশের বিভাগীয় শহরে হচ্ছে। তখনো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা সাত ইউনিটে ও টানা ৯ দিন ধরে ক্যাম্পাসেই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক অভিভাবক।
জীববিজ্ঞান অনুষদের প্রথম পালায় খুলনা থেকে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী আফসানা হকের মাতা আনিছা নূরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এভাবে ক্যাম্পাসে সবাইকে ডেকে এনে পরীক্ষা নেওয়া শুধু টাকা নষ্ট নয়, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের হয়রানি করা। সায়েন্স আর্ট, কমার্স—তিনটি ইউনিটে পরীক্ষা নেওয়া উচিত এবং সেটা বিভাগীয় পর্যায়ে হওয়া দরকার। এভাবে অনেকগুলো ইউনিটে পরীক্ষা নেওয়া এবং ক্যাম্পাসে হওয়া হয়রানি ছাড়া কিছু না।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা বলেন, নানা কারণে এ বছর শিফট পদ্ধতি বাতিল করা ও বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে একাডেমিক কাউন্সিল ও পরীক্ষা কমিটির সভায় এমন একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে যে আগামী বছর কীভাবে এই পদ্ধতি বাতিল করা যায় এবং এক দিনে পরীক্ষা শেষ করা যাবে, সেসব নিয়ে জানুয়ারি মাস থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে।