Thank you for trying Sticky AMP!!

কারিগরি ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নিয়ে যে নির্দেশনা এল

বাংলাদেশ সরকার

করোনাকালে আর্থিক সংকটে থাকা অভিভাবকদের সন্তানদের টিউশন ফি নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বেসরকারি মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো (এমপিও/নন-এমপিও) শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শুধু টিউশন ফি আদায় করবে। টিউশন ফি ছাড়া অন্য কোনো ফি আদায় করা যাবে না। আর টিউশন ফি ছাড়া অন্য কোনো ফি নেওয়া হলে তা সমন্বয়নেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দেশের সব বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসাকে এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, করোনার বৈশ্বিক মহামারির কারণে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো উদ্ভূত এ পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯–এর প্রভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ও প্রতিষ্ঠানের রক্ষণাবেক্ষণ খাতে আবশ্যিকভাবে অর্থ ব্যয় করতে হয়। তবে অভিভাবকদের আর্থিক সংকটের কথা বিবেচনা করে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (এমপিও/নন-এমপিও) এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বেসরকারি মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (এমপিও/নন-এমপিও) শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শুধু টিউশন ফি আদায় করবে। টিউশন ফি ছাড়া অন্য কোনো ফি আদায় করা যাবে না। টিউশন ফি ছাড়া অন্য কোনো ফি আদায় করা হলে তা পরবর্তী সময়ে টিউশন ফির সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। যদি কোনো অভিভাবক চরম আর্থিক সংকটে পতিত হন, তাহলে তাঁর সন্তানের টিউশন ফি মওকুফ/হ্রাস করার বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ বিবেচনায় নেবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন যেন কোনো কারণে ব্যাহত না হয়, সে বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সবাইকে যত্নশীল হতে হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগের মতো টিউশন ফিসহ অন্যান্য ফি আদায় করা যাবে।