Thank you for trying Sticky AMP!!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল

‘হঠাৎ’ ইউনিট বন্ধের প্রস্তাব নিয়ে বিভক্ত শিক্ষকেরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পাঁচ ইউনিটের মধ্যে দুটি বন্ধের ‘প্রাথমিক সিদ্ধান্ত’ নিয়ে শিক্ষকদের মতবিরোধ বাড়ছে। কোনো কোনো শিক্ষক প্রস্তাবটি সমর্থন করছেন, আবার কেউ কেউ বিরোধিতা করছেন। তাঁদের কেউ কেউ ডিনস কমিটির এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়টির ডিনস কমিটির সভার শেষ দিকে আগামী শিক্ষাবর্ষ (২০২১-২২) থেকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ঘ ইউনিট ও চারুকলা অনুষদভুক্ত চ ইউনিট বাদ দিয়ে তিনটি ইউনিটে (ক, খ ও গ) ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব দেন। কমিটিতে এ বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়।

সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটে। এখানে জেনে রাখা দরকার, চলতি শিক্ষাবর্ষে আগের মতো পাঁচটি ইউনিটেই পরীক্ষা হবে।

প্রথম আলোকে দেওয়া এক বক্তব্যে ডিনস কমিটির আইনগত এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া কিংবা প্রস্তাব দেওয়ার কোনো আইনগত এখতিয়ার ডিনস কমিটির নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনা কাঠামোতে ডিনস কমিটি নামে কোনো কিছুর আইনগত অস্তিত্বও নেই।

তানজীমউদ্দিন খান আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩-এর ২৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, পরীক্ষাসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার শুধু একাডেমিক কাউন্সিলের। ডিনস কমিটির সিদ্ধান্ত বা প্রস্তাবকে বৈধতা দেওয়া একাডেমিক কাউন্সিলের কাজ নয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া কিংবা প্রস্তাব দেওয়ার কোনো আইনগত এখতিয়ার ডিনস কমিটির নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনা কাঠামোতে ডিনস কমিটি নামে কোনো কিছুর আইনগত অস্তিত্বও নেই।
অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

কী চিন্তায় এ প্রস্তাব

উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের বক্তব্যে ইউনিট কমানোর ক্ষেত্রে মোটা দাগে তিনটি যুক্তি উঠে আসে। প্রথমত, শিক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিকে যে তিনটি বিভাগে পড়াশোনা করেন, সে অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়া। এখন শিক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

দ্বিতীয় যুক্তি হলো, পরীক্ষা নেওয়ার চাপ কমানো। উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন একজন শিক্ষার্থী তিনটি ইউনিটে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। তিনটিতে অংশ নিলে ফরম কিনতেই তাঁর ১ হাজার ৩৫০ টাকা ব্যয় হয়। এর বাইরে বিভিন্ন জেলা থেকে তিনবারের জন্য ঢাকায় আসা, থাকা ও পরীক্ষা দিতে যাওয়ার খরচও রয়েছে। ইউনিট অনুযায়ী কোচিংও করেন অনেক শিক্ষার্থী।

তৃতীয় যুক্তি হলো, ইউনিট কমিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের বিভাগ অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়া হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধারা (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) ও পাঠ্যপুস্তকভিত্তিক পড়াশোনার ঝোঁক তৈরি হবে। কোচিং–নির্ভরতা কমবে।

উপাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, ইউনিটের যেকোনো নামকরণ হতে পারে। বিভাগ পরিবর্তনের সুযোগও থাকবে। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা নিতে আমরা এক বছর সময় নিচ্ছি। এটি নিয়ে ডিনরা আরও ভাববেন।’ শিক্ষকদের একাংশের আপত্তির বিষয়ে উপাচার্যের মন্তব্য, ‘এই সিদ্ধান্ত ব্যক্তিপর্যায়ের কোনো ব্যাপার নয়।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খ ও ঘ ইউনিটে একই বিষয়ের ওপর পরীক্ষা হয়ে থাকে এগুলো হলো বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান। উপাচার্য বলেন, দুটো পরীক্ষা (ঘ ও খ ইউনিট) একই ধরনের হওয়ায় হয়তো ডিনরা তাঁর প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছেন।

সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা নিতে আমরা এক বছর সময় নিচ্ছি। এটি নিয়ে ডিনরা আরও ভাববেন।’
মো. আখতারুজ্জামান, উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বেশি সোচ্চার সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ

ইউনিট বন্ধ নিয়ে বেশি সোচ্চার সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষকেরা। তাঁরা গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে একটি সভা করেন। যেটিকে নিয়মিত সভা বলা হচ্ছে। ওই সভায় ৬০ জনের বেশি শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন সাদেকা হালিম প্রথম আলোকে বলেন, সভায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার ব্যাপারে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের আলোকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তাঁরা মতামত দেবেন।

সাদেকা হালিম আরও বলেন, ‘সভায় শিক্ষকেরা আরও বলেছেন, আমরা বিকল্প খুঁজতে পারি এবং পরীক্ষা-প্রক্রিয়ার আধুনিকীকরণ নিয়ে ভাবতে পারি। কিন্তু সেটা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখেই হতে হবে।’ তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যখন শতবর্ষের ঠিক দ্বারপ্রান্তে, তখন আগে থেকে কোনো আলোচনা ছাড়াই কেন ঘ ইউনিট বাতিলের মতো বিষয়কে সামনে আনা হলো, তা তাঁদের কাছে আশ্চর্যের বিষয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত, নৃত্যকলা এবং থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগে মূলত খ ইউনিটের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। ভর্তি পরীক্ষার বহুনির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা পরে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে তাঁদের পারদর্শিতা দেখানোর মাধ্যমে বিভাগগুলোতে ভর্তির সুযোগ পান। উপাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘সংগীত, নৃত্যকলা ও নাট্যকলায় আমরা যেভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করি, চারুকলার জন্যও সে ধরনের পদ্ধতিই গ্রহণ করা হবে। এগুলো যেহেতু সৃজনশীল বিশেষায়িত ক্ষেত্র, ফলে এগুলোতে সেভাবেই ব্যবস্থা রাখতে হবে। ডিনরা আলোচনা করে কৌশল বের করবেন।’

অবশ্য চারুকলা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন গত রোববার প্রথম আলোকে বলেন, চারুকলার ভর্তি পরীক্ষা বিশেষ ধরনের। এখানে তাত্ত্বিক পরীক্ষার পাশাপাশি অঙ্কন পরীক্ষাও নেওয়া হয়। চারুকলার পরীক্ষা কীভাবে হবে, সে বিষয়ে কোনো কিছু সুনির্দিষ্ট না করে চ ইউনিট বন্ধের কথা বলা যথার্থ নয়।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘ঘ ইউনিটের মাধ্যমে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ পান। এই ইউনিট বিলুপ্তির পর কীভাবে এই ল্যাটেরেল শিফট (বিভাগ বদল) ঘটবে, জানি না। তবে কোনো অবস্থাতেই বিজ্ঞান থেকে সামাজিক বিজ্ঞান ও কলার বিষয়গুলোতে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা ঠিক নয়।’ তিনি আরও লেখেন, ‘এই সুযোগটি থাকার কারণে অনেকেই তাঁদের পছন্দের বিষয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও হয়েছেন, যাঁদের অনেকেই বেশ খ্যাতিমান।’

যখন ঘ ইউনিট ছিল না, তখনো বিভাগ পরিবর্তন করা যেত। বর্তমান উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান নিজেই বিজ্ঞান অনুষদে পছন্দের বিষয় না পেয়ে বিভাগ পরিবর্তন করে কলা অনুষদের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন।

কমতে পারে আয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত শিক্ষাবর্ষে (২০১৯-২০) পাঁচটি ইউনিটের অধীনে আসনসংখ্যা ছিল ৭ হাজার ১১৮। এসব আসনের বিপরীতে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৫৩৭টি আবেদন জমা পড়েছিল। প্রতিটি ফরমের দাম ৪৫০ টাকা। ফলে ফরম বিক্রি করে বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছিল ১২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এ টাকার বড় অংশ পরীক্ষা নেওয়া ও খাতা দেখার সম্মানীর পেছনে ব্যয় হয়। একটি অংশ থেকে যায়, যা ব্যয় করে ডিনের কার্যালয়।

উচ্চমাধ্যমিকের বিভাগ পরিবর্তনের জন্য বিজ্ঞান, কলা ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে আসা যেকোনো শিক্ষার্থী নিজ নিজ ইউনিটে আবেদনের যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে ঘ ইউনিটে আবেদন করতে পারেন। দুটি ইউনিট বাতিল হলে সামগ্রিকভাবে আবেদনের সংখ্যাও কমবে। অবশ্য শিক্ষার্থীর ব্যয় কমবে।

শিক্ষকেরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময় বিভাগভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। কিন্তু বিভাগগুলোর প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর ঘাটতি থাকায় পরে ইউনিটভিত্তিক পরীক্ষা শুরু হয়। কয়েকজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৮০-র দশকের মাঝামাঝি বা শেষ দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মিলিত ইউনিট (ঘ) করা হয়। যখন ঘ ইউনিট ছিল না, তখনো বিভাগ পরিবর্তন করা যেত। বর্তমান উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান নিজেই বিজ্ঞান অনুষদে পছন্দের বিষয় না পেয়ে বিভাগ পরিবর্তন করে কলা অনুষদের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কেউ কেউ উপাচার্যের প্রস্তাবকে হঠাৎ দেওয়া প্রস্তাব হিসেবে অভিহিত করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বললেন, উচ্চমাধ্যমিকের বিভাগ অনুযায়ী পরীক্ষার বিষয়টি নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে আলোচনা চলছিল। এখন প্রস্তাব আকারে এসেছে। এটা নিয়ে আরও আলোচনা-পর্যালোচনা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত শিক্ষাবর্ষে (২০১৯-২০) পাঁচটি ইউনিটের অধীনে আসনসংখ্যা ছিল ৭ হাজার ১১৮। এসব আসনের বিপরীতে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৫৩৭টি আবেদন জমা পড়েছিল। প্রতিটি ফরমের দাম ৪৫০ টাকা। ফলে ফরম বিক্রি করে বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছিল ১২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এ টাকার বড় অংশ পরীক্ষা নেওয়া ও খাতা দেখার সম্মানীর পেছনে ব্যয় হয়। একটি অংশ থেকে যায়, যা ব্যয় করে ডিনের কার্যালয়।
অপরাজেয় বাংলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সাদা দল নেতার সমর্থন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ–সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল। বিএনপি ও জামায়াত–সমর্থক শিক্ষকেরা সাদা দল করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সর্বশেষ নির্বাচনে সাদা দলের প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মো. হাসানুজ্জামান ইউনিট বাতিলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ইউনিট কমানো হলে আবেদনের সংখ্যা কিছুটা কম হবে, এটা ঠিক। তবে এ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ে খুব একটা পার্থক্য হবে না। কারণ, ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রি করে যে অর্থ আসে, তার বড় অংশই ভর্তি পরীক্ষা খাতে ব্যয় হয়ে যায়।

পরীক্ষাবিষয়ক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার ডিনস কমিটির আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে হাসানুজ্জামান বলেন, ডিনস কমিটির সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি আইনসম্মতই। উপাচার্য আগেও ডিনদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তবে এটি চূড়ান্ত করার এখতিয়ার একাডেমিক কাউন্সিলের। তিনি আরও বলেন, আসলে সামাজিক বিজ্ঞান বলতে উচ্চমাধ্যমিকে কোনো বিষয় নেই। পরীক্ষা নেওয়া হয় বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের ওপর। খ ইউনিটেও এই তিনটি বিষয়ের ওপরই পরীক্ষা নেওয়া হয়। একই রকম দুটি পরীক্ষা নেওয়ার কী দরকার?

অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ঘ ও চ ইউনিট বন্ধের মতো সিদ্ধান্ত নিতে হবে ভেবেচিন্তে৷

Also Read: ঢাবির ঘ ও চ ইউনিট বিলুপ্ত করার ফল হবে মারাত্মক: ছাত্র ফ্রন্ট

Also Read: ঢাবিতে ঘ ও চ ইউনিট না রাখার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত