কানাডায় নতুন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর আসা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। দেশটির ইমিগ্রেশন, রিফিউজি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ কানাডা–আইআরসিসি এ কথা জানিয়েছে। আইআরসিসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারিতে কানাডা ১১ হাজার ২৩৫টি নতুন স্টাডি পারমিট (পড়াশোনার অনুমতি) ইস্যু করলেও পরবর্তী কয়েক মাসে সেই সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। জানুয়ারি থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৪১৭টি স্টাডি পারমিট দেওয়া হয়েছে। তুলনামূলকভাবে জানুয়ারি থেকে জুন ২০২৪ সালে এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৪।
অর্থাৎ ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে নতুন শিক্ষার্থী এসেছে ৮৮ হাজার ৬১৭ জন কম, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭০ শতাংশ কমেছে। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে মাত্র ৩ হাজার ৮১৯টি স্টাডি পারমিট ইস্যু করা হয়, যেখানে ২০২৪ সালের মার্চে সে সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৮৭৫।
আইআরসিসির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘আমরা কানাডায় আসা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা টেকসই পর্যায়ে নামিয়ে আনছি।’
কানাডা সরকারের এ নীতির প্রভাব ইতোমধ্যে শিক্ষা খাতে পড়তে শুরু করেছে। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ছাত্র ভর্তির ঘাটতির কারণে আরেক দফা কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে শুধু শিক্ষার্থীর সংখ্যাই নয়, নতুন ওয়ার্ক পারমিট ইস্যুর সংখ্যাও অর্ধেকে নেমে এসেছে কানাডায়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন—৬ মাস পর্যন্ত যেখানে ২ লাখ ৪৫ হাজার ১৩৭টি নতুন ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হয়েছিল, ২০২৫ সালের প্রথম ৬ মাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ২৩৪-এ। অর্থাৎ ১ লাখ ২৫ হাজার ৯০৩ জন নতুন কর্মী কম এসেছে, যা গত বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ হ্রাস এবং ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও কমতে পারে।
গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ঘোষণা করেছিলেন, লিবারেল সরকার কানাডায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও অস্থায়ী বিদেশি কর্মীর সংখ্যা আরও সীমিত করবে, যাতে আবাসন খাতে চাপ কমানো যায়। আইআরসিসি তাদের তিন বছরের ইমিগ্রেশন পরিকল্পনা ২০২৪ সালের অক্টোবরে প্রকাশ করে, যেখানে বলা হয়, ২০২৫ সালে কানাডা ৩ লাখ ৯৫ হাজার স্থায়ী বাসিন্দা (পিআর) গ্রহণ করবে।
লেখক: কানাডাপ্রবাসী, কনটেন্ট ক্রিয়েটর