শিক্ষা মন্ত্রণালয়
শিক্ষা মন্ত্রণালয়

শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া শতাংশের হারে দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়ানো হলেও শিক্ষকেরা তা মানছেন না। তাঁরা বলছেন মাত্র ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া বৃদ্ধি শিক্ষকদের জন্য ‘লজ্জার বিষয়’। তাঁরা মূল বেতনের অন্তত ২০ শতাংশ হারে (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) বাড়িভাড়া দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও মনে করেন বর্তমান সময়ের বাস্তবতায় ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া বৃদ্ধি আসলেই কম। এ জন্য শতাংশ হারের বাড়িভাড়া দেওয়ার জন্য কত টাকা লাগবে তার একটি প্রাক্কলন করেছে। এতে চারটি শ্রেণি করে দেখানো হয়েছে কত হারে বাড়লে কত টাকা লাগবে। এই প্রাক্কলন থেকে সরকারের সামর্থ্য অনুযায়ী বাড়িভাড়া বাড়ানোর অনুরোধ বিবেচনা করতে ৫ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বিদ্যমান ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করা এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব বিবেচনা করতেও অনুরোধ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়ার ভাতা ৫০০ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা নির্ধারণ করার বিষয়ে সম্মতি দেয় অর্থ বিভাগ। এরপর এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে আপত্তি শুরু হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) গত ৭ আগস্ট অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে আধা সরকারি পত্র দিয়েছিলেন। তাতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া এক হাজার থেকে বাড়িয়ে দুই হাজার টাকা ও চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা বাড়ানোর জন্য গত ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা অনুরোধের কথা মনে করিয়ে দেন। এ ছাড়া কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করা হয়। এ জন্য সব মিলিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে অতিরিক্ত ৭৬৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা প্রয়োজন বলেও আধা সরকারি পত্রে উল্লেখ করা হয়।

এখন শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শতাংশের হিসাবে বাড়িভাড়া দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া দিলে তিন হাজার ৪০০ কোটি টাকা, ১৫ শতাংশ হারে দিলে দুই হাজার ৪৩৯ কোটি, ১০ শতাংশ হারে দিলে এক হাজার ৭৬৯ কোটি এবং ৫ শতাংশ হারে দিলে এক হাজার ৩৭১ কোটি টাকা প্রয়োজন। এই প্রাক্কলন অনুযায়ী বাড়িভাড়া দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার জন্য অনুরোধ করা হয়।

একজন শিক্ষক নেতা আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ৫০০ টাকা বাড়ানো শিক্ষকদের জন্য লজ্জার বিষয়। শিক্ষকেরা চাচ্ছেন মূল বেতনের শতাংশের হিসাবে তা দেওয়া হোক। তাতে সুবিধাটি হবে আসন্ন নতুন বেতনকাঠামোতেও তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়বে।