শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেছেন, আগামী বছরের ১ জানুয়ারি ছাত্রছাত্রীদের হাতে নির্ভুল পাঠ্যবই তুলে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে অতীতের ভুলভ্রান্তিগুলো সংশোধন করে ছাত্রছাত্রীদের হাতে যথাসম্ভব নির্ভুল পাঠ্যবই তুলে দেওয়া যায়।
আজ বুধবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) শিক্ষা উপদেষ্টার সভাপতিত্বে শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন–সংক্রান্ত এক বিশেষ সভায় অধ্যাপক সি আর আবরার এ কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, এনসিটিবির সহায়তায় সংগ্রহ করা ২০২৫ সালের পাঠ্যপুস্তকগুলোতে বানান ও ব্যাকরণগত ভুল, ছাপার অসংগতি, তথ্যের বিভ্রাট পরিলক্ষিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যমান ১২৩টি পাঠ্যপুস্তক ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে আলাদা বিশেষজ্ঞদের প্যানেল দিয়ে সংশোধন ও পরিমার্জন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পাওয়া মতামত এনসিটিবির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই ও সংশোধন করে ছাপানোর কাজ করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা হলো বৈষম্য দূর করার হাতিয়ার। এ কাজে জনসম্পৃক্ততা প্রয়োজন। সবার সুচিন্তিত মতামত ও বুদ্ধিবৃত্তিক অংশগ্রহণ শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি করতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে সারা দেশের সব শিক্ষক এ বছরের পাঠ্যপুস্তকের বানান ও ব্যাকরণগত ভুল, ছাপার অসংগতি, তথ্যের বিভ্রাট সম্পর্কে নির্ধারিত ফরমে, সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্ধারিত ই-মেইলে তাঁদের মতামত প্রদান করতে পারবেন। অনতিবিলম্বে এনসিটিবি শিক্ষকদের মতামত দেওয়ার সুযোগ তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করেন এমন শিক্ষকদের মতামত নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। সময় নিয়ে, লাইন বাই লাইন দেখে, আলোচনা করে এটি করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি গণিত ও রসায়নের ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক সংস্করণের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
এনসিটিবির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী সভায় জানান, ইতিমধ্যে কিছু বই পরিবর্তন করা হয়েছে। সভায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া বলেন, প্রতিটি বই রিভিউ (পর্যালোচনা) করতে হবে। এর জন্য সময় নির্ধারণ করতে হবে।
ইংরেজি টার্মগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোলাম দস্তগীর কাজী।