Thank you for trying Sticky AMP!!

বাংলা - পঞ্চম শ্রেণি

পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা

রচনা: মোবাইল ফোন

ভূমিকা: আজকের দিনে মোবাইল ফোন একটি খুব প্রয়োজনীয় জিনিস। দূরে বা কাছে যোগাযোগের জন্য এটি ছাড়া যেন চলেই না। শুধু যোগাযোগ কেন, নানা কাজেই এখন এটি ব্যবহার করা হয়।

মোবাইল ফোন কী: মোবাইল ফোন একটি ছোট আকারের বৈদ্যুতিক ডিভাইস। এতে থাকে কতগুলো ‘সেল’। প্রতিটি সেলে থাকে ‘বেতার টাওয়ার’। এ ছাড়া মোবাইলের সেটে একটি ‘অ্যান্টেনা।’ এগুলোর মাধ্যমে একজনের সাথে অন্যজনের দ্রুত যোগাযোগের সুযোগ তৈরি হয়।

আবিষ্কারক: মোবাইল ফোন ব্যক্তিগতভাবে বা একক চেষ্টায় কেউ আবিষ্কার করেননি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই এটির উদ্ভাবন শুরু হয়। আমেরিকার বিখ্যাত বিজ্ঞানী গ্রাহাম বেল প্রথম টেলিফোন আবিষ্কার করেন। তাঁর দুই গবেষণা সহকারী ছিলেন রিচার্ড এইচ ফ্রাংকিয়েল এবং জোয়েল এস অ্যাঞ্জেল। তাঁরাই পরে মোবাইল ফোনের কৌশল বের করেন। আর হাতে ধরা ছোট মোবাইল সেট তৈরি করেন মার্টিন কুপার ১৯৭৩ সালে।

সুবিধা: মোবাইল ফোনের অনেক রকম সুবিধা আছে। এর মাধ্যমে দরকারমতো যে কারও সাথে যতক্ষণ ইচ্ছা কথা বলা যায়। নেটওয়ার্কের সমস্যা হলে টাইপ করে খুদেবার্তা (মেসেজ) পাঠানো যায়। এটা দিয়ে ছবি তোলা যায়, ভিডিও চিত্র ধারণ করা যায়, রেডিও শোনা যায়, টিভি দেখা যায়, এমনকি গেমসও খেলা যায়। অনেক রকম হিসাব-নিকাশ (ক্যালকুলেটর) করার পাশাপাশি এখন এটা দিয়ে ইন্টারনেটে তথ্য সংগ্রহ করা যায়। এখনকার দিনে মোবাইলে কথা বলার সময় পরস্পর পরস্পরের ছবিও দেখতে পারে। আবার এটা দিয়ে কম্পিউটারের কিছু কিছু কাজও করা যায়। 

অসুবিধা: মোবাইল ফোনের কিছু অসুবিধাও আছে। এটি দিয়ে বেশি সময় কথা বলা ঠিক নয়। তাতে কানের ক্ষতি হয়, ফুসফুস ও হার্টে চাপ বাড়ে। এমনকি মস্তিষ্কেরও (ব্রেইনের) ক্ষতি হতে পারে। অধিক সময় গেম খেললে বা ভিডিও দেখলে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হয়। তা ছাড়া এটির অপব্যবহারে সময়ের ক্ষতি হয়, পড়াশোনার ক্ষতি হয়, কাজকর্মের ক্ষতি হয়।

উপসংহার: মোবাইল ব্যবহার মানুষের ভালোর জন্য, মানুষের উপকারের জন্য। তাই সুস্থ চিন্তা, সুস্থ চর্চা এবং মোবাইলের কল্যাণকর ব্যবহার নিশ্চিত হবে।

খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্​স লিট্​ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা