Thank you for trying Sticky AMP!!

বাংলা - সপ্তম শ্রেণি

সপ্তম শ্রেণির পড়াশোনা

অধ্যায় ৫

‘জগদীশচন্দ্র বসু’ রচনার মূল বিষয়বস্তু পড়ে নাও 

জগদীশচন্দ্র বসু একজন নামকরা বাঙালি বিজ্ঞানীর নাম। এমনই নামকরা যে চাঁদের একটি গর্তের নাম তাঁর নামে করা হয়েছে। জগদীশচন্দ্র বসুর জন্ম বাংলাদেশে। তিনি জন্মেছিলেন একটি সাধারণ পরিবারে। তিনি দেশ-বিদেশের নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ পান। তিনি বিখ্যাত কেমব্রিজ ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করেন। 

জগদীশচন্দ্রের প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানী হওয়ার পেছনে তাঁর পিতার অবদান কম নয়। ইংরেজ সরকারের অধীনে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থাকা সত্ত্বেও তাঁর পিতা ভগবান চন্দ্র নিজের ছেলেকে ইংরেজি স্কুলে ভর্তি না করিয়ে বাংলা স্কুলে ভর্তি করান। এ ব্যাপারে তাঁর নিজস্ব যুক্তি ছিল। তিনি মনে করতেন ইংরেজি শেখার আগে এদেশীয় ছেলেমেয়েদের মাতৃভাষা আয়ত্ত করা উচিত। এতে তাদের সুশিক্ষার পথ সুগম হয়।

ছেলেবেলাতেই জগদীশচন্দ্র বসুর প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে পড়াশোনার আগ্রহ তৈরি হয়। কর্মজীবনে তিনি নিজেকে পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হচ্ছে বৈদ্যুতিক চুম্বক-তরঙ্গ, রেডিওর মাধ্যমে বিনা তারে যোগাযোগের মূল কৌশল ইত্যাদি। পরবর্তীকালে রেডিও-টেলিভিশন, ইন্টারনেট, মাইক্রোওয়েভ কুকার ইত্যাদি জগদীশ বসুর আবিষ্কারের ওপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক বিজ্ঞানী হিসেবে উদ্ভিদের যে প্রাণ আছে, এই তত্ত্ব ও উদ্ভিদের বৃদ্ধি মাপার যন্ত্র ক্রেসকোগ্রাফ আবিষ্কারও জগদীশচন্দ্রের অনন্য কীর্তি। 

বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুকে বিশেষ কীর্তির জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করেন। তা ছাড়া তাঁকে সম্মান জানিয়ে ব্রিটিশ সরকার কাগুজে মুদ্রার নোটে তাঁর ছবি মুদ্রণ করে।

জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা