
চলচ্চিত্র বিষয়ে পড়াশোনা করতে প্রায় দুই বছর নির্মাণ প্রক্রিয়া থেকে দূরে ছিলেন রবিউল আলম রবি। দেশে ফেরার পর তাঁর মনে হলো নব লব্ধ অভিজ্ঞতাগুলোকে কাজে লাগানো উচিত। সেই বিচারে রবির জন্য ‘ঊনলৌকিক’ একটি বিশেষ প্রকল্প। ঊনলৌকিক অর্থাৎ প্রায় লৌকিক বিষয়বস্তু নিয়ে বিশ্বজুড়ে আগেও কাজ হয়েছে। শিবব্রত বর্মনের এই ধরনের ৫টি ভিন্ন স্বাদের গল্প নিয়ে এই অ্যান্থলজি সিরিজ। আলাদা আলাদা গল্প হিসেবে দর্শক যেমন উপভোগ করতে পারবেন, আবার পরিচালকের মতে, সামগ্রিকভাবে একটা অভিন্ন সূত্র খোঁজার সম্ভাবনাও জারি থাকবে।
এই সিরিজের মাধ্যমেই প্রথম কোনো ওয়েব সিরিজে কাজ করলেন আসাদুজ্জামান নূর। তাঁর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে রবি বললেন, ‘চিত্রনাট্য মনে ধরলে মেধাবী শিল্পীরা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে উদ্যমী হয়ে ওঠেন। এই সিরিজের প্রতিটি শিল্পীকে আমি উদ্যমী হয়ে উঠতে দেখেছি।’
'চরকি'র সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে রবি বললেন, ‘আমাকে সব রকম নিরীক্ষণের সুযোগ করে দিয়েছে তারা। সম্পূর্ণ কাজটি সহজ করে দেওয়ার জন্য একটি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের যতটুকু সাহায্য দরকার, তার প্রায় সবটুকুই করেছে চরকি।’
এই সিরিজের প্রিপ্রোডাকশনে প্রতিটি বিভাগে দীর্ঘ সময় দিয়েছেন নির্মাতারা। রবি বলেন, ‘প্রতিটি গল্পের আলাদা আলাদা বিন্যাসের জন্য আলাদা আলাদা প্রোডাকশন ডিজাইনের প্রতি গভীর মনোযোগ দিতে হয়েছে। ৫ মেধাবী চিত্রগ্রাহকের সঙ্গে কাজ করেছি।’
সবশেষে রবি বলেন, ‘নির্মাতা হিসেবে আমাদের যেমন কিছু দায়িত্ব আছে, দর্শক হিসেবেও আমাদের কিছু দায়িত্ব আছে। নিজের দেশের কন্টেন্টকে তার উৎকর্ষে নিয়ে যেতে হলে আমাদের দর্শক হিসেবেও সচেতন হতে হবে। পাইরেসি না করা সচেতন দর্শকের নিদর্শন। বিশ্বের অন্যান্য দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে এ উদ্যোগ নেওয়া আছে, তার সঙ্গে সঙ্গে সেসব দেশের দর্শক গোষ্ঠীও সচেতন হয়েছে।