পাঁচ প্রশ্ন

স্বর্ণা

স্বর্ণা
স্বর্ণা

প্রাচ্যনাটের নিয়মিত প্রযোজনা মায়ের মুখ। মূল নাটক থেকে অনুবাদ করেছেন মুম রহমান। নির্দেশনা দিয়েছেন তৌফিকুল ইসলাম ইমন। এখানে ‘দেবরা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্বর্ণা। আজকের পাঁচ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শফিক আল মামুন

একজন দেবরা...
একজন হাসিখুশি সফল মায়ের চরিত্র এটি, যিনি মা হিসেবে, একজন ভালো সংসারী মানুষ হিসেবে নিজেকে সফল ভাবেন। মঞ্চে দেবরা একজন গর্ভবতী মা। নাটকটির মধ্যে একজন মা, একজন স্ত্রীর জার্নিকে দেখানো হয়েছে। এবং মাতৃত্বের জায়গাটাকে তুলে আনা হয়েছে। একজন সাধারণ মা, একজন সাধারণ স্ত্রীকে আমাদের সমাজে যে তাচ্ছিল্যের চোখে দেখা হয়, তার বিপরীতে দেবরাকে দাঁড় করানো হয়েছে।

স্বর্ণা যখন দেবরা
দেবরা আমার ব্যক্তিগত জীবনের বাইরের একটা চরিত্র। অন্তঃসত্ত্বা একজন মা। চরিত্রটি আমি করেছি কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই। প্রথম দিন মহড়া করতে গিয়ে আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম। কীভাবে একজন অন্তঃসত্ত্বা মায়ের আবেগটা ধারণ করব? হাঁটাচলা, বসা, ঘুমানো—সবকিছুই সাধারণ মা থেকে আলাদা। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বোঝার চেষ্টা করলাম। পেটে বালিশ বেঁধে নিলাম। পেটে বালিশ বাঁধার পরই আমার মায়ের কথা মনে পড়ে গেল। মা তো এভাবে আমাদের ধারণ করেছেন। মুহূর্তটা আমাকে খানিকটা আলোড়িত করে। তারপর তো আস্তে আস্তে ইমন ভাই, পাভেল ভাই চরিত্রটি এগিয়ে দিলেন।

ব্যস্ততা...তবু আছি...

এখন টেলিভিশন নাটকে বেশি কাজ করছি। তার পরও মঞ্চে বিরতি নেই। আগে প্রতিদিনই দলে যেতাম। এখন কাজ থাকলে যাই। নিয়মিত মহড়া কিংবা শো তো করছিই।

যাত্রা হলো শুরু

প্রাচ্যনাট স্কুল থেকেই থিয়েটার শুরু। ওখানে ছয় মাসের কোর্সে আমি প্রথম হয়েছিলাম। প্রথম নাটক স্কুল প্রযোজনা রাণী এবং বিদ্রোহীরা। মূল চরিত্রটি আমি করি। এরপর মূল দল প্রাচ্যনাটে যোগ দিই। তা-ও ছয়-সাত বছর হবে। দলে যোগ দিয়ে প্রায় দুই বছর ধরে রাজা এবং অন্যান্য নাটকের জন্য প্রস্তুতি নিই। দলের পুনর্জন্ম নাটকটির একটা প্রদর্শনী আমি করেছি। এখন নিয়মিতভাবেই মায়ের মুখ নাটকটিতে কাজ করছি।

আসিতেছে...

দলে ট্র্যাজেডি পলাশ বাড়ি নামে একটি নাটকের কাজ চলছে। নির্দেশনা দিচ্ছিলেন আজাদ আবুল কালাম। প্রায় ছয় মাসেরও বেশি সময় থেকে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এখনো পাণ্ডুলিপি পড়ার কাজ চলছে। কলাকুশলী চূড়ান্ত হয়নি। এখানে কাজ করছি। আশা করছি, এ বছরের মধ্যেই চূড়ান্তভাবে নাটকটি মহড়ায় যাবে।