Thank you for trying Sticky AMP!!

টিকা না নিয়ে বিয়ে করব না

রিচা চাড্ডা

কখনো বাইক চালাচ্ছেন বলিউড অভিনেত্রী রিচা চাড্ডা, আবার কখনো চালাচ্ছেন ট্রাক্টর, কখনো গ্রামের ডানপিটে মেয়ে, কখনো রাজনীতিবিদ। ‘ম্যাডাম চিফ মিনিস্টার’ ছবিতে ব্যতিক্রম সব চরিত্রে তিনি। পর্দায় ‘তারকা’ হয়ে ওঠার জন্য অনেক কিছু শিখতে হয়েছে এই বলিউড অভিনেত্রীকে।

রিচা চাড্ডা ও আলী ফজল

ছবিটি মুক্তির দোরগোড়ায়। রিচা মুঠোফোনে প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধিকে জানালেন এই ছবিতে তাঁর অভিনয়ের পেছনের গল্প। রিচা বলেন, ‘পর্দায় ঠিকঠাক চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে আমাকে অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। প্রথমে রাজনীতি সম্পর্কে জানতে হয়েছে। আমাকে কর্মশালা করতে হয়েছে। বাইক চালানো, গরুকে গোসল করানো, এমনকি দুধ দোহন করাও শিখতে হয়েছে। শুটিং শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে আমি বাড়ির কাজকর্ম শিখেছি। ঝাড়ু দেওয়া, ঘর মোছা, চা বানানো, খাবার বানানো এসব বাড়ির কাজ শিখেছি। এমনকি ট্রাক্টর চালানোও শিখেছি। আসলে পরিচালক আমাকে মাটির মানুষ করে তুলতে চেয়েছিলেন। ছবির প্রয়োজনে আমি মাথায় প্রায় ৫০ কেজি ধান বহন করেছি। গ্রাম্য পরিবেশে থাকার অভিজ্ঞতা হয়েছে। সত্যি বলতে এসব কিছুই দারুণ উপভোগ করেছি।’

রিচা চাড্ডা আর আলী ফজলের চেনাজানা সেই ২০১২ সাল থেকে

তবে চরিত্রের প্রয়োজনে সবকিছু করলেও নিজের চুল কাটাতে রাজি হননি রিচা। তিনি বলেন, ‘শুটিংয়ের আগেই আমার আর আলির (আলি ফজল) বিয়ের দিন ঠিক হয়ে গিয়েছিল। আমি চাইনি “বয়কাট” চুলে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে। তাই পরচুলা পরতে বাধ্য হই। বিয়ের ব্যাপারটি না থাকলে চুল কাটতে এতটুকু অসুবিধা ছিল না।’

রিচা চাড্ডা

সুভাষ কাপুর পরিচালিত ‘ম্যাডাম চিফ মিনিস্টার’ ছবিতে রিচা আর সৌরভ শুক্লা ছাড়া আর কোনো বড় তারকা নেই। তাই কতটা চাপে আছেন, জবাবে রিচা বলেন, ‘আমি কখনোই সেভাবে চাপ নিই না। আমি চাই ছবিটা সবাই উপভোগ করুক। এই ছবির মাধ্যমে যে বার্তা দিতে যাচ্ছি, তা সবাই যেন উপলব্ধি করেন। আমরা এই ছবির জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি। বাকিটা দর্শকের হাতে।’

‘ম্যাডাম চিফ মিনিস্টার’ ছবিতে রিচাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখা যাবে। তবে বাস্তবে তিনি এক দিনের জন্যও মুখ্যমন্ত্রী হতে চান না। এ প্রসঙ্গে রিচা হাসতে হাসতে বলেন, ‘মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া অনেক কঠিন কাজ। তবে আমি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মুখ্যমন্ত্রী হতে পারি। আমি প্রথমেই সবার রয়্যালটি, ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থা করব। ইন্ডাস্ট্রির কেউ যেন অভাবে না মারা যায়, সেদিকে নজর দেব।’

আপাতত বন্ধ রিচা চাডডা ও আলী ফজলের বিয়ে

পর্দায় রিচাকে সব সময় শক্তিশালী চরিত্রে দেখা যায়। ছবি নির্বাচনের প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি বলেন, ‘কোনো ছবি নির্বাচনের সময়ে আমি সবার আগে গল্প দেখি। এরপর অবশ্যই আমার চরিত্রটি দেখি।’ তবে রিচার কাছে দর্শকের ভালবাসা সব পুরস্কারের চেয়ে অনেক বেশি দামি। তিনি বলেন, ‘আমার অভিনয় যখন কারও হৃদয় ছুঁয়ে যায়, এটাই আমাকে সব চেয়ে বেশি তৃপ্তি দেয়। এর মূল্য পুরস্কারের চেয়ে অনেক বেশি।’

বলিউডে ১২ বছর পার করেছেন রিচা। এক যুগ পরও আজ তিনি নিজেকে এক ‘আউটসাইডার’ বলে মনে করেন। একবুক দীর্ঘশ্বাস নিয়ে রিচা বলেন, ‘এত বছর পরও আমি নিজেকে এই দুনিয়ার একজন মনে করতে পারি না। ইন্ডাস্ট্রির ইনসাইডারদের মধ্যে বন্ডিং আলাদা। আমার সন্তান হলে সে হয়তো এই ইন্ডাস্ট্রির একজন হয়ে উঠবে।’
আলোচনার শেষে উঠে এল রিচা-আলির বিয়ের কথা। রিচা বলেন, ‘টিকা সবাই না নেওয়া পর্যন্ত বিয়ের কথা ভাবছি না। বিয়ের জন্য অন্য কারও জীবনে বিপদ ডেকে আনতে চাই না।’

দাস দেব ছবিতে রিচা চাড্ডা