Thank you for trying Sticky AMP!!

ফ্লপ সিনেমা কারিনাকে দিয়েছে জীবনসঙ্গী

শিগগিরই মা হচ্ছেন কারিনা

এক ফুঁয়ে ৪০টি মোমবাতি নিভিয়ে জন্মদিনের কেক কেটেছেন বলিউড তারকা কারিনা কাপুর। মিলিয়ে নিয়েছেন ২০ বছরের ক্যারিয়ারের পাওয়া না–পাওয়াগুলো। বলিউড তাঁকে দিয়েছে খ্যাতি ও খ্যাতিমান এক বর। ইদানীং সেসব নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তিনি।

সম্প্রতি কারিনা কথা বলেছেন বিবিসি এশিয়া নেটওয়ার্কের সঙ্গে। ২০ বছরের ক্যারিয়ারের সারমর্ম আর ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি বলেন, ‘উত্থান ছিল, পতন ছিল। দুই জায়গা থেকে শিখেই আমি আজকের “আমি” হয়েছি। ইচ্ছা আছে ক্যারিয়ারের ৫০ বছর পূর্তিতেও এভাবেই সাক্ষাৎকার দেব।’

কারিনা কাপুর খান

স্মৃতি হাতড়ে ২০০৮ সালে ফিরে কারিনা বলেন, ‘ওই সময় আমি একই সঙ্গে জাব উই মেট আর তাশান সিনেমার শুটিং করছিলাম। জাব উই মেটের সেটে গিয়ে ভাব নিয়ে বসে থাকতাম। ইমতিয়াজকে (পরিচালক ইমতিয়াজ আলী) শুনিয়ে শুনিয়ে বলতাম, আমি যশরাজের তাশান করছি। সেখানে আমার বিপরীতে আছে অক্ষয় কুমার আর সাইফ আলী খান। সেই সিনেমার গানে নাচার জন্য আমি এক বছর ধরে ডায়েট করছি, “সাইজ জিরো” ফিগার বানাচ্ছি। তাশান তো বছরের সেরা, দশকের সেরা ব্লকবাস্টার হিট করবে। আসলে গীত চরিত্রটা আমি তেমন মন দিয়ে করিনি। কিন্তু রিলিজের পর হইচই ফেলে দিল জাব উই মেট। আর তাশান সুপার ফ্লপ। গীত এখনো “পু”য়ের মতো (কাভি খুশি কাভি গম সিনেমায় কারিনার চরিত্র) বলিউডের সেরা দশ আইকনিক চরিত্রের একটি। পরে বুঝলাম, আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন গীত।’

কারিনা আর তাঁর জীবনসঙ্গী সাইফ আলী খান একসঙ্গে যত সিনেমা করেছেন, সেসবের প্রায় সবই ফ্লপ। কুরবান, এজেন্ট বিনোদ, হ্যাপি এন্ডিং, তাশান, বোম্বে টকিংস, এলওসি কার্গিল। সেদিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমার হিট ছবিগুলো ক্যারিয়ার গড়ে দিয়েছে। আর ফ্লপ ছবি দিয়েছে জীবনসঙ্গী।’

২১ সেপ্টেম্বর ছিল কারিনার জন্মদিন এবং ১৫ অক্টোবর সাইফ-কারিনা বিবাহবার্ষিকী

২০১০ সালকে কারিনার অভিনয়জীবনের সেরা সময় উল্লেখ করে উপস্থাপক বলেন, ওই সময় তিনি শাহরুখের সঙ্গে রা ওয়ান, আমির খানের সঙ্গে থ্রি ইডিয়টস আর সালমান খানের সঙ্গে বডিগার্ড সিনেমা করেছিলেন। তখনকার কথা মনে করিয়ে দিতেই ভুল শুধরে কারিনা বলেন, ‘একজন বাদ পড়ল। ওই সময় আমি সাইফ আলী খানের সঙ্গে এজেন্ট বিনোদও করেছি।’ কারিনা আরও জানান, তালাশ সিনেমার মুখ্য ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য সাইফ আলী খানের কাছে প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু সাইফ রাজি হননি। তারপর আমির খান ছবিটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে কারিনাকে সিমরন চরিত্রের জন্য প্রস্তাব দেন। আর ২০ বছর পর পেছনে ফিরে তাকালে চামেলি, থ্রি ইডিয়টস, হিরোইন, রিফিউজি, ওমকারার সঙ্গে তালাশ সিনেমার এই চরিত্রও ক্যারিয়ারের হাইলাইটস হিসেবে ভেসে ওঠে কারিনার চোখের সামনে।