Thank you for trying Sticky AMP!!

‘ভালো মানুষ, মন্দ মানুষ সবার সঙ্গেই কাজ করেছি’

বাবা শত্রুঘ্ন সিনহার হাত ধরে বলিউড চেনা সেই শৈশবেই। তবে বলিউডে পা ফেলেছেন প্রস্তুতি নিয়েই। ২০০৫ সালে পোশাক পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম লেখালেও ২০১০ সালে আসেন একেবারে অভিনেত্রী হিসেবে। সিনেমার নাম ‘দাবাং’, বিপরীতে সালমান খান। সে বছরের সর্বোচ্চ আয় করা বলিউড সিনেমার পাশাপাশি ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসহ পুরস্কার জোটে ঝুলিতে। নামের পাশে যুক্ত হয় ‘দাবাং’-কন্যা। সেই তো শুরু। এরপর কেটে গেল ১০ বছর। অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা ১০ বছর বলিউডযাত্রার প্রথম ছবির স্মৃতি একটু উল্টে দেখলেন খানিকটা।

সোনাক্ষী ২০০৫ সালে পোশাক পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম লেখালেও ২০১০ সালে আসেন একেবারে অভিনেত্রী হিসেবে

সোনাক্ষী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘প্রথম ছবি করার আগে আমার জীবন ছিল ভিন্ন জগতের। তখন আমি ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে পড়ি। আর সেই জগতেই আমি খুশি ছিলাম। সালমান আর আরবাজ খান ‘দাবাং’ ছবির জন্য এমন একটি মেয়ে খুঁজছিলেন, যাঁর মধ্যে থাকবে ভারতীয় সৌন্দর্য। তাঁরা খুঁজছিলেন একটি নতুন মুখ। আমাকে দেখে তাঁদের মনে হলো ‘দাবাং’-কন্যা রাজ্জোর ভূমিকায় আমিই সই। তাঁরা আমাকে একবারের জন্যও জিজ্ঞেস করেনি আমি ছবিটিতে অভিনয় করতে রাজি কি না। আমি ভাবলাম, এমন সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। আমার গ্রহণ করা উচিত।’

অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন সিনহা এবং পুনম সিনহার কন্যা সোনাক্ষী

অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন সিনহা এবং পুনম সিনহার কন্যা সোনাক্ষী। যমজ দুই ভাইসহ তিন ভাইবোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। মুম্বাইয়ের আর্য বিদ্যামন্দির থেকে তাঁর মাধ্যমিক জীবন সম্পন্ন করেন এবং মুম্বাইয়ের এসএনডিটি উইমেন্স ইউনিভার্সিটি থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। বাবা একসময়ের ব্যস্ত বলিউড তারকা, তবে ছোটবেলায় শুটিং সেটে যেতেন না সোনাক্ষী। শুটিং নাকি তাঁর কাছে খুবই বিরক্তিকর মনে হতো; যদিও ‘দাবাং’ ছবিতে অভিনয়ের পরে এটা একদমই বদলে যায়। সোনাক্ষী সেট ছাড়া এখন কিছু চান না আর। সারা জীবনই থাকতে চান অভিনয়ের সঙ্গেই।

“১০টি বছর দ্রুত কেটে গেল। মনে হচ্ছে, গতকালই যেন আমার অভিষেক হয়েছে। আমি আমার কাজকে ভীষণভাবে উপভোগ করেছি। ভালো মানুষের সঙ্গ যেমন পেয়েছি, তেমনি মন্দ মানুষের সঙ্গেও কাজ করেছি। সবকিছুর জন্যই কৃতজ্ঞ আমি। অপেক্ষা করছি আরও ভালো দিনের। আরও কঠিন পরিশ্রম করব। কখনো আত্মতুষ্টিতে ভুগব না।”
সোনাক্ষী সিনহা
শুটিং নাকি তাঁর কাছে খুবই বিরক্তিকর মনে হতো; যদিও ‘দাবাং’ ছবিতে অভিনয়ের পরে এটা একদমই বদলে যায়

এই ১০ বছর সোনাক্ষীর যেন চোখের পলকেই কেটে গেল। তিনি বলেন, ‘১০টি বছর দ্রুত কেটে গেল। মনে হচ্ছে, গতকালই যেন আমার অভিষেক হয়েছে। আমি আমার কাজকে ভীষণভাবে উপভোগ করেছি। ভালো মানুষের সঙ্গ যেমন পেয়েছি, তেমনি মন্দ মানুষের সঙ্গেও কাজ করেছি। সবকিছুর জন্যই কৃতজ্ঞ আমি। অপেক্ষা করছি আরও ভালো দিনের। আরও কঠিন পরিশ্রম করব। কখনো আত্মতুষ্টিতে ভুগব না।’
সোনাক্ষীকে সামনে দেখা যাবে ‘ভুজ: দ্য প্রাইড অব ইন্ডিয়া’ ছবিতে। এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে আছেন অজয় দেবগন।

সোনাক্ষীকে সামনে দেখা যাবে ‘ভুজ: দ্য প্রাইড অব ইন্ডিয়া’ ছবিতে