সালমান শাহরুখদের কাতারে নাম, একসময় সবজি বিক্রি করেছেন

এমন অভিনেতার জন্ম যেন কালেভাদ্রে হয়। যিনি বলিউডকে অভিনয় দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আজ তিনি প্রথম সারির অভিনেতাদের তালিকায় অনায়াসে জায়গা করে নেন। কিন্তু শুরুটা এত সহজ ছিল না। শুরুতে তিরস্কার যেমন পেয়েছেন, সেই তুলনায় কমই পুরস্কার পেয়েছেন। সবকিছুকে ছাপিয়ে পরিশ্রম ও সততাই তাঁকে আজকের জায়গায় স্থান করে দিয়েছে। আজ এই অভিনেতার জন্মদিন।
আজ সালমান শাহরুখদের কাতারে নাম, একসময় সবজি বিক্রি করতে হয়েছে তাঁকে। সেই সময় বাবাকে কাজে সহযোগিতা করতে ভোর চারটায় ঘুম থেকে খেতে যেতে হয়েছে
ছবি: ইনস্টাগ্রাম
সংগ্রামের প্রথম দিকে আর্থিক সংকটে ছিলেন। একসময় সবজি বিক্রি করলেও সেই কৃষি পেশাকে এখনো তিনি ভোলেননি। কৃষক পরিবারের সন্তান হিসেবে গর্ব বোধ করেন। এখনো অবসর পেলে ছুটে যান গ্রামে। শুরু করে দেন কোদাল দিয়ে মাটি কোপানো, সার, বীজ বপনের কাজ
সংগ্রামের প্রথম দিকে আর্থিক সংকটে ছিলেন। একসময় সবজি বিক্রি করলেও সেই কৃষি পেশাকে এখনো তিনি ভোলেননি। কৃষক পরিবারের সন্তান হিসেবে গর্ব বোধ করেন। এখনো অবসর পেলে ছুটে যান গ্রামে। শুরু করে দেন কোদাল দিয়ে মাটি কোপানো, সার, বীজ বপনের কাজ
তারা ছিলেন ৯ ভাইবোন। গ্রামে বেড়ে উঠলেও তাঁর স্বপ্ন ছিল অভিনেতা হওয়ার। যখন তিনি অভিনয়ের পেছনে ছুটতে শুরু করেছেন, সেই সময় মাত্র ৫টি ছবিও তাঁর দেখা ছিল না। ছোট বয়সে বিয়ে করার পর অভিনয়ের জন্য মুম্বাইতে ছোটেন
ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ক্যারিয়ারের শুরুতে কাজের জন্য ঘুরতে থাকেন। কাজের খোঁজ যেমন চলতে থাকে, তেমনি আবার শুরু করেন পড়াশোনা। আর্থিক সংকটে একসময় দিল্লিতে প্রহরী হিসেবেও কাজ করতে হয়েছে তাঁকে
পরে তিনি ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামাতে ভর্তি হন। তিনি ছিলেন ১৯৯৬ সালের ব্যাচ। সেখানেও তাঁকে লুকের জন্য রিজেক্ট হতে হয়েছিল। নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী তখন সংগ্রাম শুরু করেন। এই সংগ্রামে প্রমাণ করেছিলেন বলিউডে বর্ণবাদ রয়েছে
শুরু থেকেই এই অভিনেতা সমানতালে হেঁটেছেন। হুট করে কিছু একটি করে ফেলতে হবে, এটা কখনোই ভাবেননি। পরিশ্রম ও ধৈর্য তাঁর মূলমন্ত্র
এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, টানা ১২ বছর কঠিন সংগ্রামের পর বলিউডে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। শুরুর সময়টা তিনি শুধু অ্যাক্টিং দক্ষতাকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন
ভারতের অনেক বড় তারকা তাঁর সঙ্গে পর্দা ভাগাভাগি করে নিতে চান। কিন্তু নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী কখনোই নিজেকে বড় তারকা বলে মনে করেন না। এমনকি তিনিও কাউকে বড় তারকা বলে মনে করেন না। তিনি সবাইকে সহকর্মী বলে মনে করেন
ক্যারিয়ারে টানা ১৫ বছর তিনি শুধু এক্সপেরিমেন্টাল কাজ করেছেন। একই ঘরানার গল্পে কখনোই কাজ করেননি। তাকে সবচেয়ে বেশি কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন অনুরাগ ক্যাশপ। সাহিত্যিক সাদত হাসান মান্টোর চরিত্রে
শক্তিমান এই অভিনেতার শুরুটা ছিল ‘শোলে’ সিনেমা দিয়ে। ১৯৯৯ সালে সিনেমাটি মুক্তি পায়। এতে ওয়েটারের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। পরে তিনি ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’ সিনেমায় পকেটমার এবং ‘দ্য বাইপাস’–এ ডাকাতের চরিত্রে অভিনয় করেন। প্রতিটা কাজেই তিনি নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন। ১৯৭৪ সালে আজকের এই দিনে তার জন্ম