দীপিকা পাড়ুকোন। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
দীপিকা পাড়ুকোন। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

৫০০ কোটির সিনেমাও আর আমাকে টানে না: দীপিকা পাড়ুকোন

শোবিজের ঝলমলে দুনিয়ায় সাফল্যকে অনেক সময়ই মাপা হয় বিশাল বাজেট, তারকাসমৃদ্ধ কাস্টিং আর বক্স অফিসের আয় দিয়ে। কিন্তু কিছু শিল্পী আছেন, যাঁরা এই প্রচলিত ধারণা বদলে দিচ্ছেন। বলিউডের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক ছবিগুলোর মুখ হিসেবে পরিচিত দীপিকা পাড়ুকোন জানিয়েছেন, তিনি এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছেন, যেখানে আর্থিক পরিসর বা বক্স অফিসের মাইলফলক তাঁর সিদ্ধান্তের মূল কারণ নয়; বরং তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন উদ্দেশ্য, সৃজনশীলতা আর সততাকে।

প্রভাস অভিনীত দুটি বহুল আলোচিত ছবি—সন্দীপ রেড্ডি ভঙ্গার ‘স্পিরিট’ ও নাগ অশ্বিনের ‘কল্কি’র সিকুয়েল থেকে সরে দাঁড়ানোর পরই দীপিকার দৃষ্টিভঙ্গির এই পরিবর্তন স্পষ্ট হয়। এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা জানান, সংখ্যাটা তাঁর সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে না। তিনি বলেন, ‘এই পর্যায়ে এসে আর সেটা নিয়ে ভাবি না। ১০০ কোটি, ৫০০ কোটি কিংবা ৬০০ কোটি—এসব আর আমার মাপকাঠি নয়।’

টাকার চেয়ে সততা জরুরি
দীপিকা বলেন, তিনি এখন প্রকল্প বেছে নেন প্রবৃত্তি ও সততার ভিত্তিতে, পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে নয়। তিনি যোগ করেন, ‘যা আমার সত্য বলে মনে হয় না, তা আমি করি না। কখনো কখনো মানুষ অনেক টাকা অফার করে এবং ভাবে শুধু সেটাই যথেষ্ট—কিন্তু সেটা নয়।’

দীপিকা পাড়ুকোন। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

নতুনদের পাশে
অভিনেত্রী জানান, নতুন সৃজনশীল প্রতিভার সঙ্গে কাজ করতেই তিনি এখন সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি পান। তিনি বলেন, ‘এখন আমাকে সবচেয়ে রোমাঞ্চিত করে অন্য প্রতিভাকে সমর্থন দেওয়ার সুযোগ। আমার টিম আর আমি এখন গল্প বলার জায়গা তৈরি করা, নতুন লেখক, নির্মাতা, এমনকি নতুন প্রযোজকদের সমর্থন করাতেই বেশি মন দিচ্ছি। এটিই এখন আমার কাছে অর্থবহ।’

এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘তার বিপরীতও সত্যি—কোনো কাজ হয়তো বড় বাণিজ্যিক ছবি নয়, কিন্তু আমি যদি মানুষটিকে বা বার্তাটিকে বিশ্বাস করি, তাহলে আমি তার পাশে থাকব।’

দীপিকা পাড়ুকোন

নিজের পরিবর্তন নিয়ে ভাবনা
দীপিকা স্বীকার করেন, এমন স্বচ্ছতা সব সময় ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি কি সব সময় এতটা পরিষ্কার ছিলাম? হয়তো না। কিন্তু এখন সেই স্পষ্টতা পেয়েছি। মাঝেমধ্যে পেছনে তাকিয়ে মনে হয়—আমি তখন কী ভাবছিলাম! এটাও শেখারই অংশ। হয়তো ১০ বছর পর আজকের সিদ্ধান্তগুলো নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। কিন্তু এখন এগুলোই আমার কাছে সত্য মনে হয়।’

৮ ঘণ্টার শিফট দাবি
সম্প্রতি দীপিকা খবরের শিরোনামে এসেছিলেন আট ঘণ্টার কাজের শিফটের দাবি করে। তিনি অতিরিক্ত কাজকে স্বাভাবিক ভাবাও বন্ধ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা অতিরিক্ত কাজকে স্বাভাবিক করে ফেলেছি। মানুষের শরীর–মন, উভয়ের জন্য আট ঘণ্টার কাজই যথেষ্ট। আপনি সুস্থ থাকলেই সেরাটা দিতে পারবেন।’

ইন্ডিয়াডটকম অবলম্বনে