বলিউড অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা সিংয়ের ঝুলিতে রয়েছে একাধিক সফল প্রকল্প। তবু তিনি তাঁর অভিষেক ছবিকে সবার আগে এগিয়ে রাখেন। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তাঁর অভিষেক ছবির চরিত্রের প্রভাব তিনি আজও কোথাও না কোথাও অনুভব করেন।
অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘হাউসফুল ৫’ ছবিতে সদ্য দেখা গেছে চিত্রাঙ্গদা সিংকে। তরুণ মনসুখানি পরিচালিত কমেডি ঘরানার ছবিটি বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করছে। ‘হাউসফুল ৫’ ছবিতে একঝাঁক তারকার মধ্যেও নজর কেড়েছেন চিত্রাঙ্গদা। এই ছবিতে তাঁর অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে। কয়েক মাস আগে ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপটার’ সিরিজে এক রাজনৈতিক নেত্রীর চরিত্রে রীতিমতো দাপট দেখিয়েছেন অভিনেত্রী।
তবে চিত্রাঙ্গদার কাছে তাঁর অভিষেক ছবি ‘হাজারো খায়াইশে অ্যায়সি’র স্থান সবার আগে।
এই ছবির প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার এই ফিল্মি ভ্রমণে সবচেয়ে বড় দিক ছিল বড় পর্দায় অভিষেক। ছবির গীতা চরিত্রের প্রভাব আমি আজও কোথাও দেখতে পাই। মানুষ আমাকে ওই চরিত্রের জন্য আজও মনে রেখেছেন। গীতার কারণে আজও আমার পরিচিতি। এরপর আমার ক্যারিয়ারে এমন কিছু ছবি এসেছে, সেই সব ছবির চরিত্রের কারণে মানুষ আমাকে মনে রেখেছেন, কিন্তু আমার অভিষেক ছবির গুরুত্ব আমার কাছে আলাদা। তবে গীতা আমাকে যে পরিচিতি দিয়েছে, তা আমাকে আর অন্য কোনো চরিত্র সেভাবে দেয়নি।’
মুম্বাইতে পাপারাজ্জি বা প্রচারের আলো থেকে নিজেকে দূরে রাখেন চিত্রাঙ্গদা। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মুম্বাইতে কাজের বাইরে আমি খুব একটা বাইরে বের হই না। আমি শুধু কাজে বিশ্বাসী। অভিনয় থেকে একটু ছাড়া পেলে আমি লেখালেখি করি। নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।’
‘হাউসফুল ৫’ ছবিকে ঘিরে অনেকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। কারও কারও মতে, অক্ষয়ের ছবিটি ‘মাথামুণ্ডুহীন’। এ প্রসঙ্গে চিত্রাঙ্গদা বলেন, ‘এখন ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে সামাজিক, রাজনৈতিকভাবে সঠিক হওয়ার চাপ থাকে। এত কিছু মাথায় রাখতে গিয়ে কোথাও হাস্যরস শেষ হয়ে যাচ্ছে।’
অভিনেত্রীর মতে, সামাজিক বার্তা দেওয়া সব ছবির উদ্দেশ্য নয়। তিনি বলেন, ‘অক্ষয় কুমারের “এয়ারলিফট”, “প্যাড ম্যান”, “কেসরি”-এর মতো ছবিগুলোতে সমাজের প্রতি শক্তিশালী বার্তা আছে। কিন্তু প্রতিটি ছবিতে তা থাকা সম্ভব নয়। “হাউসফুল”-এর মতো ছবি কেবল বিনোদনের জন্য বানানো হয়েছে। তাই সব ছবিকে একইভাবে বিচার করা উচিত নয়। ’