জাভেদ আখতার। এএনআই
জাভেদ আখতার। এএনআই

ভারত-পাকিস্তান দুই দিক থেকেই গালি খাই, তাই বুঝি, আমি সঠিক: জাভেদ আখতার

স্পষ্টভাষী হিসেবে খ্যাত ভারতীয় গীতিকার ও লেখক জাভেদ আখতার আবার আলোচনায়। বরাবরের মতো এবারও অকপট মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে এলেন বলিউডের এই ব্যক্তিত্ব। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় তোলার পর এবার সরাসরি আক্রমণ শানালেন প্রতিবেশী দেশটির কট্টরপন্থীদের বিরুদ্ধে।

মুম্বাইয়ে রাজনীতিক সঞ্জয় রাউতের আত্মজীবনী ‘হেভেন ইন হেল’-এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন জাভেদ আখতার। সেখানেই নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন তিনি। জানান, দুই পক্ষ থেকেই তিনি গালাগালির শিকার হন। এক পক্ষ তাঁকে ‘জিহাদি’ আখ্যা দিয়ে পাকিস্তানে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। অন্য পক্ষ তাঁকে ‘কাফির’ বলে আখ্যা দেয়।

জাভেদ আখতার। এএনআই

জাভেদের স্পষ্ট মন্তব্য, ‘আমার টুইটগুলো দেখলেই বুঝবেন, দুই পাশ থেকেই আমাকে গাল দেওয়া হয়। এটাই বাস্তবতা। যদি একদিকের কট্টরপন্থীরা হঠাৎ গাল দেওয়া বন্ধ করে, তখন বরং আমি চিন্তায় পড়ে যাই, আমি কি কিছু ভুল করে ফেললাম?’ এই প্রসঙ্গে আরও তীব্র ভাষায় জাভেদ বলেন, ‘যদি আমাকে বলা হয় ‘পাকিস্তান’ আর ‘নরক’-এর মধ্যে একটা বেছে নিতে, আমি নির্দ্বিধায় নরককেই বেছে নেব।’

‘অপারেশন সিঁদুর’ ইস্যুর পর থেকেই পাকিস্তানবিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি। পাকিস্তানি শিল্পীদের ভারতে নিষিদ্ধ করার পক্ষেও সাফাই দিয়েছেন জাভেদ। তাঁর ভাষ্যে ‘ভারত সব সময় পাকিস্তানি শিল্পীদের সম্মান দিয়েছে, সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান কি কখনো লতা মঙ্গেশকরের মতো শিল্পীকে সম্মান জানিয়েছে? ওরা তো তাঁর স্মরণেও কোনো অনুষ্ঠান করেনি।’

গীতিকার হিসেবে জাভেদ আখতারের অবদান অতুলনীয়। আবার চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ লেখক হিসেবেও তিনি বিখ্যাত। ‘সীতা অউর গীতা’, ‘জঞ্জির’, ‘শোলে’, ‘দিওয়ার’—এসব কালজয়ী ছবির চিত্রনাট্য তাঁরই লেখা। পাশাপাশি ‘তেজাব’, ‘বর্ডার’, ‘১৯৪২: আ লাভ স্টোরি’-র মতো জনপ্রিয় ছবির গানে তাঁর কলমের ছাপ স্পষ্ট।

গানের জগতে, চলচ্চিত্রে, এমনকি রাজনৈতিক-সামাজিক প্রসঙ্গেও জাভেদ আখতার সব সময় ছিলেন স্পষ্ট ও সাহসী কণ্ঠস্বর। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।