গত বৃহস্পতিবার লন্ডনে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের সাবেক স্বামী সঞ্জয় কাপুর। এই সঞ্জয় ছিলেন ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী শিল্পপতি। তাঁর সম্পদের পরিমাণ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
জানা গেছে, সঞ্জয় কাপুরের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১০ হাজার ৩০০ কোটি রুপি)। ফোর্বস সাময়িকীর জরিপে তিনি বিশ্বের ২ হাজার ৭০৩তম ধনী ব্যক্তি ছিলেন।
সঞ্জয় কাপুর ছিলেন অটোমোটিভ যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী বহুজাতিক সংস্থা সোনা কমস্টারের চেয়ারম্যান। এই সংস্থার বাজারমূল্য ছিল ৪০ হাজার কোটি রুপির কাছাকাছি। বিশ্বের শীর্ষ ১০ গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭টিরই যন্ত্রাংশ সরবরাহ করত সোনা কমস্টার। বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) খাতে ভারতীয় অগ্রগতির অন্যতম পথপ্রদর্শক ছিল কোম্পানিটি।
২০০৩ সালে কারিশমা কাপুরকে বিয়ে করে খবরের শিরোনামে আসেন সঞ্জয়। এই সংসারে তাঁর দুটি সন্তান—সামাইরা ও কিয়ান। পরবর্তী সময় ২০১৬ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর মডেল প্রিয়া সচদেবকে বিয়ে করেন তিনি। প্রিয়ার আগের বিয়ের একটি কন্যাসন্তানকে দত্তক নেন সঞ্জয়। তাঁদের ঘরেও একটি সন্তান, আজারিয়াস।
সামাইরা ও কিয়ানের সঙ্গে সব সময় যুক্ত ছিলেন সঞ্জয়।
প্রিয়া সচদেব প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটানো বা উৎসবের মুহূর্ত শেয়ার করতেন। এক ইউটিউব চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় বলেছিলেন, ‘বিশ্বাস আর সম্মান আমার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। পরিবার যেন একসঙ্গে থাকে এবং একসঙ্গে বেড়ে ওঠে, সেটাই আমি চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের পরিবারে মানিয়ে চলাটা সব সময় সহজ হয় না। কিন্তু আমরা সৌভাগ্যবান, কারণ, আমাদের মধ্যে ভালোবাসা আর সহযোগিতার একটা সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যা আমি চাই, আমাদের মৃত্যুর পরও টিকে থাকুক।’
সোনা কমস্টার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সঞ্জয়ের বাবা সুরিন্দর কাপুর, ১৯৯৭ সালে। ২০১৫ সালে তাঁর মৃত্যুর পর সঞ্জয় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব নেন। সংস্থাটির কারখানা রয়েছে ৯টি দেশে।
সঞ্জয়ের মরদেহ লন্ডন থেকে ভারতে আনা হবে শেষকৃত্যের জন্য। তাঁর শ্বশুর অশোক সচদেব এনডিটিভিকে বলেন, ‘ময়নাতদন্ত চলছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পন্ন হলে দেহ ভারতে আনা হবে।’