বাড়ির কোনো গাড়ি প্রস্তুত ছিল না। অটোরিকশায় চড়ে লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছান আহত সাইফ আলী খান। সে সময় অভিনেতার সঙ্গে ছিল আট বছর বয়সী সন্তান তৈমুর। অভিনেতাকে শুধু দ্রুততার সঙ্গে হাসপাতালেই পৌঁছে দেননি, ভাড়াও চাননি অটোচালক ভজন সিং রানা। এর পর থেকেই নায়ক বনে গেছেন ভজন। প্রশংসার পাশাপাশি পুরস্কারও পেয়েছেন। এবার সাইফের দেখা পেলেন ভজন। খবর এনডিটিভির
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান সাইফ। এরপর সোজা গিয়ে ওঠেন নিজের বাড়িতে। জানা গেছে, হাসপাতাল ছাড়ার আগে সেই অটোচালক ভজনের সঙ্গে দেখা করেন অভিনেতা।
পাঁচ মিনিটের এ সাক্ষাৎকারে সাইফ ওই রাতের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য ভজনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি ভজনকে জড়িয়ে ধরে ধন্যবাদ জানান। ওই সময় সাইফের মা অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরও উপস্থিত ছিলেন। তিনিও ছেলের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য ভজনকে ধন্যবাদ জানান।
গত বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটা কি তিনটার দিকে বান্দ্রা লিংক রোডের গলি ধরে অটো চালিয়ে যাচ্ছিলেন ভজন সিং রানা।
সাইফের বাসভবন সদগুরু শরণ অ্যাপার্টমেন্টের কাছ দিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ দেখেন, সামনে এক নারী ‘রিকশা রিকশা’ বলে চিৎকার করছেন। ততক্ষণে বাড়ির ফটক থেকেও কয়েকজনের ডাক শুনতে পান তিনি। গেট পেরিয়ে একটু এগিয়েই গিয়েছিলেন ভজন।
ডাকাডাকি শুনে ইউটার্ন করে এসে দরজার সামনে অটো থামান। সাইফ আলী খানের সাদা কুর্তা তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছে। নিজের পরিচয় দিয়ে অটোচালক ভজনকে কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন অভিনেতা। কথা রাখেন চালক। যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে নিয়ে যান লীলাবতী হাসপাতালে। এমনকি কোনো ভাড়াও চাননি তিনি।