দিনে ১৮টি আপেল খেয়েছেন তিনি
ডেভিড লিনকে না
এখন আর কারও জানতে বাকি নেই, ‘লরেন্স অব অ্যারাবিয়া’ করেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তারকাখ্যাতি পান মিসরীয় অভিনেতা ওমর শরিফ। কিন্তু শুরুতে সেই চরিত্র করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল দিলীপ কুমারকেই। কেন ডেভিড লিনের প্রস্তাবে রাজি হননি অভিনেতা? শোনা যায়, সিনেমাটিতে অভিনয়ের জন্য তাঁর কাছ থেকে যে পরিমাণ সময় দাবি করা হয়েছিল, সেটা দিতে অপারগ ছিলেন তিনি। এ–ও শোনা যায়, ছবিটিতে কাজ করলে টানা ভোরবেলা উঠতে হতো, সে জন্যই রাজি হননি।
আকাশচুম্বী পারিশ্রমিক
আজ থেকে অনেক বছর আগেই দিলীপ কুমারের পারিশ্রমিক ছিল আকাশচুম্বী। সাত-আট দশক আগেই তাঁর পারিশ্রমিক ছিল ৫ লাখ, যা বেড়ে ১১ লাখ পর্যন্ত হয়েছিল। ১৯৫০ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতা।
মেথড অভিনেতা
ভারতের মেথড অভিনয়ের অন্যতম পথপ্রদর্শক তিনি। কোনো চরিত্র পছন্দ করলে সেটিতে অভিনয়ের জন্য নিজের মতো করে প্রস্তুতি নিতেন। এই যেমন কোহিনূর সিনেমায় অভিনয়ের জন্য সেতার বাজানো শিখেছিলেন তিনি।
৬৬ সিনেমা
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৫টিতে অতিথি চরিত্রসহ মাত্র ৬৬টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন দিলীপ কুমার। এর মধ্যে ৫৭টিতেই প্রধান নায়ক। ১৯৪৭ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত তাঁর অভিনীত ২৫টি সিনেমা ফ্লপ হয়, বক্স অফিসে হিট হয় ৩০টি।
ট্র্যাজেডি কিং
১৯৪৪ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত ২৬টি বিয়োগান্তক সিনেমা করেন তিনি; যার ১৭টিই হিট।
যখন চিত্রনাট্যকার
‘কাশ্মীর ভ্যালি’ নামের একটি সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছিলেন দিলীপ কুমার। যেটি কাশ্মীরে শুটিং হওয়ার কথা ছিল। অভিনেতার করার কথা ছিল এক কাশ্মীরি পণ্ডিতের চরিত্র। সিনেমাটি প্রযোজনা করার কথাও ছিল। কিন্তু পরে তিনি বুঝতে পরেন, চরিত্রটি অল্প বয়সী কোনো অভিনেতার করা দরকার, তাঁকে মানাবে না।
আপেলপ্রেমী
দিলীপ কুমার ছিলেন ক্রিকেট পাগল। আর ভালোবাসতেন আপেল। বিশেষ করে আউটডোর শুটিং থাকলে তো কথা নেই। ‘সাগিনা মাহাতো’র আউটডোরে দিনে ১৮টি আপেল পর্যন্ত খেয়েছেন। তা নিয়ে ইউনিটের সবার বিস্ময়ের সীমা ছিল না। এ ছাড়া ভালোবাসতেন চিকেন তন্দুরি। তখন কলকাতায় তন্দুরি মেশিন পাওয়া যেত না বলে মুম্বাই থেকে আনানো হয়েছিল।
Also Read: দিলীপ কুমার কেন থাকবেন স্মরণে
Also Read: ভালোবাসা নিয়েই চিরঘুমে দিলীপ কুমার
Also Read: দিলীপ কুমার যুগের অবসান