অক্ষয় কুমার ও শিল্পা শেঠি। এক্স থেকে
অক্ষয় কুমার ও শিল্পা শেঠি। এক্স থেকে

সাবেক প্রেমিক অক্ষয়ের বিশ্বাসঘাতকতা, শিল্পার বড় অভিযোগ

নব্বই দশকের শেষের দিকে অক্ষয় কুমার আর শিল্পা শেঠির প্রেম ছিল তুমুল চর্চার বিষয়। পত্রিকা আর সাময়িকীর পাতা খুললেই দুই তারকার প্রেম নিয়ে নানা কাহিনি চোখে পড়ত। তবে ‘ধাড়কান’ সিনেমার শুটিংয়ে তাদের প্রেম ভেঙে যায়। যা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন সিনেমার পরিচালক। ভেবেছিলেন, এটা হয়তো তাঁর সিনেমার ব্যবসায় প্রভাব ফেলবে। তবে সেটা হয়নি, বক্স অফিসে হিট হয় ছবিটি। আজ ‘ধাড়কান’ মুক্তির ২৫ বছর। এ উপলক্ষে ফিরে দেখা যাক শিল্পা আর অক্ষয়ের বাস্তবের প্রেমের গল্প।

প্রেম, বিশ্বাসভঙ্গ আর টুইঙ্কেলের আগমন
অক্ষয় ও শিল্পার প্রেমের শুরু হয়েছিল ‘ম্যায় খিলাড়ি তু আনারি’ ছবির শুটিংয়ে। প্রকাশ্যে তাঁদের ভালোবাসা ছিল স্পষ্ট—অনুষ্ঠান, পার্টি, রেড কার্পেট—সব জায়গায় তাঁরা ছিলেন একসঙ্গে। কিন্তু হঠাৎই এ সম্পর্ক ভেঙে যায়, যখন শিল্পা জানতে পারেন অক্ষয় একই সময় টুইঙ্কেল খান্নার সঙ্গে সম্পর্ক করছেন।

শিল্পা ও অক্ষয়। আইএমডিবি

২০০০ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শিল্পা খোলাখুলিভাবে অভিযোগ করেছিলেন, ‘ভাবতেই পারিনি, সে আমাদের পুরো সম্পর্ক চলাকালীন আমাকে ধোঁকা দিতে পারে। অন্য নারীকে দোষ দেওয়ার কিছু নেই, দোষটা ছিল পুরোপুরি ওর। আমার মানুষই আমাকে ঠকিয়েছে।’

‘ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলা’
সেই একই সাক্ষাৎকারে শিল্পা আরও বলেন, ‘অক্ষয় কুমার আমাকে ব্যবহার করেছে, তারপর সুবিধামতো ফেলে দিয়েছে, যখন টুইঙ্কেলের প্রেমে পড়েছে। একমাত্র ওর ওপরই আমার রাগ ছিল। তবে আমি নিশ্চিত, ও একদিন সবকিছুর প্রতিদান পাবে। অতীতকে ভুলে যাওয়া সহজ নয়, কিন্তু আমি খুশি যে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পেয়েছি। আজ ও আমার জীবনের এক বিস্মৃত অধ্যায়। আমি আর কখনো ওর সঙ্গে কাজ করব না।’

এ সময়েই চলছিল ‘ধাড়কান’ ছবির শুটিং। ব্যক্তিগত জীবনে ঝড় বয়ে গেলেও শিল্পা চেয়েছিলেন দ্রুত ছবির কাজ শেষ করতে, যাতে তাঁর ব্যক্তিগত সমস্যার প্রভাব প্রযোজক বা ছবির ওপর না পড়ে।

অক্ষয়ের অস্বীকার
শিল্পার এই অভিযোগের জবাবে তখন অক্ষয় সবই অস্বীকার করেন। বলেন, শিল্পার উচিত নয় এই ঘটনা নিয়ে ‘স্ক্যান্ডাল’ তৈরি করা। এ নিয়ে শিল্পার সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘ও যা করেছে, তারপর আর কীইবা বলবে?’

‘ধাড়কান’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি

টুইঙ্কেল-অক্ষয়ের প্রেমকাহিনি
অক্ষয় ও টুইঙ্কেলের প্রথম দেখা হয় ফিল্মফেয়ারের এক ফটোশুটে। তবে প্রেমের সূত্রপাত ঘটে ‘ইন্টারন্যাশনাল খিলাড়ি’ ছবির শুটিংয়ে। টুইঙ্কেল তখন এক ব্যর্থ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে এই নায়কের প্রতি আকৃষ্ট হন। এরপরই শুরু হয় তাঁদের সম্পর্ক, যা শেষ পর্যন্ত বিয়েতে গিয়ে পৌঁছায়।

‘ধাড়কান’ সম্পর্কে
২০০০ সালের ১১ আগস্ট মুক্তি পায় ধর্মেশ দর্শনের ‘ধাড়কান’। মিউজিক্যাল রোমান্টিক ড্রামা ঘরানার এ সিনেমায় অভিনয় করেন অক্ষয় কুমার, সুনীল শেঠি, শিল্পা শেঠি ও মহিমা চৌধুরী। সমালোচকদের প্রশংসার পাশাপাশি বক্স অফিসেও দারুণ ব্যবসা করে সিনেমাটি। মাত্র ৯ কোটি রুপি বাজেটের সিনেমাটি প্রায় ২৭ কোটির ব্যবসা করে। সিনেমার পাশাপাশি এর গানগুলোতেও জনপ্রিয়তা পায়।

অনেকেরই মনে নেই, ২০০১ সালে ‘ধাড়কান’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশি সিনেমা ‘হৃদয়ের বন্ধন’। এফ আই মানিকের সিনেমাটিতে অভিনয় করেন আমিন খান, শাবনূর, রিয়াজ ও কেয়া। তবে সেটা ছিল অনানুষ্ঠানিক রিমেক।

তথ্যসূত্র: বলিউড বাবল