
আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থায় শঙ্কিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। বাংলাদেশ ও ভারতের জনপ্রিয় এই অভিনয়শিল্পী জানান, আফগানিস্তানে যুদ্ধের স্থিরচিত্রগুলো দেখে তাঁর ভেতরটা দুমড়ে–মুচড়ে যাচ্ছে। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর অনেক মানুষ আফগানিস্তান ছেড়ে পালাচ্ছেন। বিমানবন্দরে শিশুকে রেখে মা-বাবা উধাওয়ের খবরও বিশ্ব গণমাধ্যমে আসছে। এ ছাড়া সেখাকার নারী ও শিশুদের অসহায়ত্বও প্রকাশিত হচ্ছে গণমাধ্যমে। এসবই স্পর্শ করেছে বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পী জয়া আহসানকেও।
তিনি বলেন, ‘আসলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের আঙুল সব সময়ই ওঠে মেয়েদের দিকে। ঠিক কম্পাসের কাঁটার মতো ঘুরে যায় নারীজাতির দিকে। আফগান পরিচালক সারা করিমি যে আহ্বান জানিয়েছেন, আমি মন থেকে তাতে সায় দিচ্ছি। তাঁর সঙ্গে আছি।
দূর থেকে কতটা কী করতে পারব জানি না, আমার পক্ষে যদি কিছু করার সুযোগ আসে, নিশ্চয়ই করব। ওখানকার যেসব ছবি দেখছি, শিউরে উঠছি। বাংলাদেশ হোক, ভারত হোক বা বহির্বিশ্বের যেকোনো দেশেই মেয়েদের ওপর অত্যাচার হলে আমাদের সরব হতে হবে। দেশটা আমাদের থেকে দূরে ভেবে বসে থাকলে চলবে না। আজ যা ওখানে হচ্ছে, কাল তা আমার দেশেও হতে পারে।’
বাংলাদেশে জয়া আহসান অভিনীত ‘বিউটি সার্কাস’ ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। কলকাতায় মুক্তি পাচ্ছে জয়া অভিনীত ‘বিনি সুতোয়’। ছবিটির পরিচালক অতনু ঘোষ। এই সিনেমার মধ্য দিয়ে লকডাউন শেষে কলকাতায় খুলছে প্রেক্ষাগৃহ। পরিচালক অতনু প্রথম আলোকে বলেন, ‘যে ছবি ঘিরে নানা জল্পনাকল্পনা ও দর্শক–আগ্রহ আছে, সে ছবি দেখতে দর্শক আসবেই। তা ছাড়া আমাদেরও তো একটু ঝুঁকি নিয়ে আগ বাড়িয়ে এগিয়ে আসতে হবে। ছবির বাজারটাও তো চাঙা করতে হবে।’
শিগগিরই জয়া আহসান শুরু করছেন সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র ‘রইদ’–এর কাজ। এই ছবির পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন।