Thank you for trying Sticky AMP!!

পরীমনির স্বপ্ন পূরণ

পরীমনি

ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি। দুই বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে এরই মধ্যে অভিনয় করেছেন এক ডজনেরও বেশি ছবিতে। এ ছাড়া চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন আরও দেড় ডজন ছবিতে। খুব অল্প সময়ে এত বেশি ছবিতে অভিনয় করলেও আলোর মুখ দেখছিল না তাঁর অভিনীত কোনো ছবি। অনেক দিন থেকেই ছবি মুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিলেন পরীমনি। অবশেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে পরীমনির প্রথম চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসা সীমাহীন’। গতকাল শুক্রবার ঢাকাসহ সারা দেশের অর্ধশতাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। প্রথম ছবি মুক্তির অনুভূতিসহ আরও নানা বিষয় নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন পরীমনি।
অবশেষে প্রেক্ষাগৃহে আপনার ছবি মুক্তি পেয়েছে। দর্শকদের সঙ্গে বসে ছবিটি দেখার সুযোগ হয়েছে?
শুটিংয়ের কারণে ইচ্ছা থাকলেও দর্শকদের সঙ্গে প্রেক্ষাগৃহে বসে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ ছবিটি দেখার সুযোগ হয়নি। ভাবছি ঢাকায় ফেরার পরপরই ছবিটি দেখব। এই মুহূর্তে (আজ শনিবার) আমি বান্দরবানে আছি। এখানে ‘আরো ভালোবাসবো তোমায়’ ছবির শুটিং করছি। বৃহস্পতিবার ঢাকার বাইরে এসেছি।
প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় ছবি মুক্তি পেয়েছে। কেমন লাগছে?
আমি অনেক খুশি। স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। অনেক দিন ধরে ছবিটির মুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। এ নিয়ে মনে কষ্টও ছিল। অবশেষে তা দূর হয়েছে।
‘ভালোবাসা সীমাহীন’ সম্পর্কে কিছু বলুন।

‘ভালোবাসা সীমাহীন’ আমার অভিনয়জীবনের প্রথম ছবি। তাই ছবিটির প্রতি আমার অন্য রকম একটা আবেগ রয়েছে। ছবির গল্পটা অনেক পরিণত। ক্যারিয়ারের শুরুতে এ ধরনের একটি গল্পে আমাকে ভাবার জন্য পরিচালকের প্রতি কৃতজ্ঞতা না জানিয়ে পারছি না। এ মাসে ছবিটির মুক্তি নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা ছিল। আমার প্রথম ছবি হিসেবে ওয়াজেদ সুমনের ‘পাগলা দিওয়ানা’ মুক্তির কথা কথা ছিল। তবে আমি প্রথম ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ ছবির শুটিং করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত শুটিং করা প্রথম ছবিটি প্রথমে মুক্তি পাওয়ায় অনেক ভালো লাগছে।

ছবি মুক্তির এক দিন পার হয়েছে। কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন?
দর্শক ছবিটি দেখবে এ ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি সাড়া পাচ্ছি। প্রচুর ইতিবাচক মন্তব্য আমাকে কাজের প্রতি আরও বেশি অনুপ্রাণিত করে তুলছে।

‘ভালোবাসা সীমাহীন’ আপনার অভিনীত প্রথম ছবি। প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতাটা কেমন ছিল?
২০১৩ সালের শেষ দিকের ঘটনা। আমার প্রথম ছবির শুটিংয়ের জন্য গাজীপুরের সোহাগপল্লীতে যাই। নীল রঙের শাড়ি পরে আমি তৈরি। জীবনে প্রথমবারের মতো বড় পর্দার জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়াব। সহশিল্পী মিলন ভাই। অন্য রকম এক আনন্দে মন নাচতে থাকে। সেদিন গানের দৃশ্যের শুটিং ছিল। সারা দিন প্রচুর বৃষ্টি। একটা সময় মনটাই খারাপ হয়ে যায়। ভাবতে থাকি, আজ বুঝি আর শুটিংই করতে পারব না। অবশেষে সন্ধ্যায় বৃষ্টি থামে। তারপর গানের দৃশ্যের শুটিং করা হয়।

যাঁর অনুপ্রেরণায় চলচ্চিত্রে...
কখনো ভাবিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় করব। নাটকে কাজ করছিলাম। তা নিয়েই সন্তুষ্ট ছিলাম। নাটকে কাজ করতে গিয়ে চম্পা ম্যাডামের সঙ্গে পরিচয় হয়। নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে প্রায়ই তিনি আমাকে চলচ্চিত্রের নায়িকা হওয়ার কথা বলতেন। অনেক উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিতেন। প্রতিনিয়ত তাঁর বলা কথাগুলো আমাকে নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখায়। আমিও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠি। এভাবেই একদিন পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল আমাকে তাঁর ছবিতে অভিনয়ের জন্য নির্বাচিত করেন।

পরীমনির লক্ষ্য...
আমার লক্ষ্য ছিল বড় পর্দার অভিনেত্রী হওয়ার। বড় পর্দায় নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ বেশি। সহজেই দর্শকের কাছে পৌঁছানো যায়। এমন ভাবনা থেকেই সিনেমায় অভিনয় করছি।