
১২টি দেশের ১২ তরুণ পরিচালক ও শিল্পী পাচ্ছেন ফেলোশিপ অ্যাডওয়ার্ড। নেদারল্যান্ডসের প্রিন্স ক্লজ ফান্ডের আওতায় মুভিং ন্যারেটিভ বিভাগে ১২ তরুণের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের নির্মাতা এডিট দেওয়ান। তিনি পরবর্তী সিনেমা নির্মাণে এই তহবিল পাচ্ছেন। তরুণ নির্মাতা হিসেবে এই পুরস্কার পথচলায় প্রেরণা জোগাবে—এমনটাই জানালেন এই তরুণ পরিচালক।
নেদারল্যান্ডসের এই প্রিন্স ক্লজ ফান্ড সাংস্কৃতিক অঙ্গনে উন্নয়নের জন্য প্রতিবছর তরুণদের সহায়তা করে। এর মধ্যে যেমন তরুণ নির্মাতা রয়েছেন, তেমনি তরুণ শিল্পী–কলাকুশলীরাও সহায়তা পেয়ে থাকেন। এই তহবিলের অর্থ যে কেউ তাঁদের পছন্দের সিনেমা নির্মাণ ও আর্টিস্ট ডেভেলপমেন্টের কাজে লাগাতে পারেন।
এডিট দেওয়ান বলেন, ‘প্রথমত একটি প্রজেক্ট জমা দিতে হয়। কিছু নিয়ম রয়েছে; সেগুলো দেখে যে কেউ প্রজেক্ট জমা দিতে পারেন। এখানে পোর্টফলিও দেখে সম্ভাবনাময় শিল্পী–কলাকুশলীদের সহায়তায় করে সংগঠনটি। আমি যে সিনেমার প্রজেক্ট জমা দিয়েছিলাম, সেটা নিয়েই কাজ করছি। তবে এর বাইরেও চাইলে যেকোনো প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করতে পারি। সেভাবেই আমি এগোচ্ছি।’
অনুদান পাওয়া ১২টি দেশের মধ্যে রয়েছে মিসর, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, অ্যাঙ্গোলা, থাইল্যান্ড, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, লেবানন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের নাম। এসব শিল্পী–কলাকুশলী পাবেন ১ লাখ ২০ হাজার ইউরো।
এডিট দেওয়ান বলেন, ‘ফিল্ম ডিরেক্টরকে আমি শিল্পী হিসেবেই বুঝি। একজন স্বাধীন ঘরানার শিল্পীর জন্য এটা দারুণ সুযোগ। যারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে সিনেমা নিয়ে কাজ করে, তাদের জন্য এই ফান্ড–সহায়তা ভবিষ্যতের স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। এটা তরুণ নির্মাতাদের বড় একটা কাজের সুযোগ করে দেয়। এই সহযোগিতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
এডিট দেওয়ান সম্পর্কে প্রিন্স ক্লজ ফান্ডের সাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নির্মাতা ও কিউরেটর। একই সঙ্গে তিনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক। দেওয়ান নির্মাতা হিসেবে দেশের সাংস্কৃতিকেই পর্দায় তুলে ধরতে চান।
গত বছর এই তরুণ কিউরোটোরিয়াল ইনটেনসিভ বৃত্তি পান। এর আগে প্রিন্স ক্লজ ফান্ডের সিড অ্যাওয়ার্ড তহবিল পেয়েছিলেন। তিনি পাঁচটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বানিয়েছেন। সর্বশেষ ‘নট অনলি অ্যান্ট’স স্টোরি’ দিয়ে প্রশংসিত হন। চলচ্চিত্র নিয়ে এডিট দেওয়ান ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন।