খুলনা উপকূলের মানুষের কাহিনি নিয়ে চলচ্চিত্র ‘নোনা পানি’

নোনা পানি’র প্রিমিয়ার শো আগামী শুক্রবার বিকেল চারটায় অনুষ্ঠিত হবে
নোনা পানি’র প্রিমিয়ার শো আগামী শুক্রবার বিকেল চারটায় অনুষ্ঠিত হবে

খুলনা অঞ্চলের মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে চলচ্চিত্র ‘নোনা পানি’। চলচ্চিত্রটি সম্পূর্ণ চিত্রায়িত হয়েছে খুলনার বিভিন্ন গ্রামে। নির্মাণপ্রক্রিয়ায় যুক্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশই খুলনার স্থানীয়। পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন খুলনারই মেয়ে সৈয়দা নিগার বানু।

খুলনার মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘নোনা পানি’র প্রিমিয়ার শো আগামী শুক্রবার বিকেল চারটায় অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছে বেঙ্গল চলচ্চিত্র উন্নয়ন ফোরাম।
আজ বুধবার বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবে ‘নোনা পানি’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো ও সার্বিক দিক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে কথা বলেন ছবির পরিচালক সৈয়দা নিগার বানু, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শুভজিত রায় ও চলচ্চিত্রশিল্পী রুবল রোদী।

আজ বুধবার বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবে ‘নোনা পানি’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো ও সার্বিক দিক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়

‘নোনা পানি’ চলচ্চিত্রের কাহিনি প্রসঙ্গে পরিচালক নিগার বানু বলেন, ‘খুলনার সুন্দরবনের কাছে ভদ্রা নদীর পাড়ে বটখালী গ্রামের প্রতিনিধিত্ব করছে রোম্বা, দশপাই ও কৃষ্ণার মতো তিনটি চরিত্র। প্রতিটি চরিত্র খুবই সাধারণ, এতটাই সাধারণ যে বলার মতো কোনো গল্পও নেই তাদের। তিনটি চরিত্রের সঙ্গে যুক্ত হয় আরও অনেক চরিত্র, গোটা গ্রামই ওঠে এসেছে চলচ্চিত্রের পর্দায়।’

পরিচালক জানালেন, রোম্বা, দশপাই ও কৃষ্ণারা তাদের নিঃসঙ্গতা, অসহায়ত্ব, জেদ আর টিকে থাকার লড়াইয়ের সূত্রে পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত। তারা সবাই চায় গ্রামে থিতু হতে, চায় আত্মপরিচয়। এই আকাঙ্ক্ষাকে মর্যাদা দিতে গিয়ে তারা কখনো কখনো নিজ নিজ জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে চায়। ছুড়ে ফেলতে চায় অসহায়ত্বের ঘেরাটোপ—সেটিই এই চলচ্চিত্রের মূল উপজীব্য।