‘জয়া আর শারমিন’ চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে মোহসিনা আক্তার ও জয়া আহসান
‘জয়া আর শারমিন’ চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে মোহসিনা আক্তার ও জয়া আহসান

পাঁচ বছর পর আসছে ‘জয়া আর শারমিন’

কিছু গল্প থিতু হতে সময় নেয়। মুহূর্ত যাপনের মধ্য দিয়ে খুঁজে পায় আপন ভাষা। ‘জয়া আর শারমিন’ ঠিক তেমনই এক সম্পর্কের গল্প—জানালেন পরিচালক পিপলু আর খান। পাঁচ বছর আগে, করোনা মহামারিতে যখন গোটা পৃথিবী থমকে গিয়েছিল, ঠিক তখনই শুরু হয়েছিল সিনেমাটির শুটিং। ছবিটি আগামী মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। গতকাল প্রথম আলোকে জানালেন পরিচালক।

‘জয়া আর শারমিন’ চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে মোহসিনা আক্তার

পরিচালক বললেন, ছোট্ট পরিসরে, গভীর আবেগ নিয়ে তৈরি হওয়া ছবিটি অবশেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত। এরই মধ্যে ছবিটি সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। গল্প প্রসঙ্গে পরিচালক জানালেন, জয়া ও তাঁর সহকারী শারমিনের সম্পর্কের উত্থান-পতনের গল্প। কোভিডের সময়ে, এক বাড়িতে আটকে পড়া দুই নারী নিজেদের জন্য তৈরি করে নেন এক ছোট্ট জগৎ। কিন্তু বাইরের ভীতিকর বাস্তবতায় তা ধীরে ধীরে ফিকে হতে থাকে, ফাটল ধরতে শুরু করে তাঁদের ভেতরকার সম্পর্ক। বন্ধুত্ব, ভয়, সাহস আর হারানোর অনুভূতির মধ্যে গড়ে ওঠা এক আন্তরিক আখ্যান ছবিটি।

‘জয়া আর শারমিন’ চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে জয়া আহসান

মাত্র ১৫ দিনে, মহামারির কঠিন সময়ের মধ্যে সীমিত একটি দল নিয়ে ছবিটি তৈরি হয়েছে। ছবিতে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, মোহসিনা আক্তার ও তানজিম সাইয়ারা তটিনী। যৌথভাবে ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন পিপলু আর খান ও নুসরাত ইসলাম। প্রযোজনা করেছেন পিপলু আর খান ও জয়া আহসান।

সিনেমাটি নিয়ে জয়া আহসান বললেন, ‘দুজন নারীর অচেনা ভুবনের সিনেমা। আমাদের অন্তর্জগতের ঘাত-প্রতিঘাত আর অনুক্ত, অব্যক্ত অনুভূতির ডকুমেন্টেশন। একটা অদ্ভুত সময়ে অসাধারণ অভিজ্ঞতায় শুট করা ছোট্ট একটা সিনেমা; কিন্তু আশা করি, দর্শকের অনুভূতিকে নাড়া দেবে।’