বরেণ্য অভিনেত্রী ববিতা এখন আর অভিনয়ে নিয়মিত নন। ১০ বছর আগে তাঁর অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’ মুক্তি পায়। এরপর কয়েকটি সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও গল্প, পরিচালক ও সার্বিক আয়োজন তাঁকে টানেনি বলে জানান। বাবা-মা চেয়েছিলেন, তাঁদের মেয়ে যেন বড় হয়ে চিকিৎসক হন। বড় বোন সুচন্দার অনুপ্রেরণায় চলচ্চিত্রে নাম লেখান তিনি। ১৯৬৮ সালে জহির রায়হানের ‘সংসার’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে রুপালি পর্দায় তাঁর অভিষেক হয়। এতে ববিতা অভিনয় করেন রাজ্জাক-সুচন্দার মেয়ের চরিত্রে। সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনিসংকেত’ ছবিতে ‘অনঙ্গ বউ’ চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খ্যাতি পান ববিতা। চার দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে গ্রামীণ, শহুরে কিংবা সামাজিক অ্যাকশন—সব ধরনের ছবিতেই ববিতা ছিলেন সাবলীল। সত্তর ও আশির দশকে তরুণ-তরুণীদের কাছে তিনি ছিলেন ভীষণ জনপ্রিয়। তাঁর ফ্যাশন-ভাবনা তরুণীদের প্রভাবিত করত। বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে ববিতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেন। তাঁর অভিনীত ছবির সংখ্যা আড়াই শর বেশি। এর মধ্যে ‘বাঁদী থেকে বেগম’ (১৯৭৫), ‘নয়নমণি’ (১৯৭৬), ‘বসুন্ধরা’ (১৯৭৭), ‘রামের সুমতি’ (১৯৮৫) ও ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’ (১৯৯৬) ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ববিতা অভিনীত আরও উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘শেষ পর্যন্ত’, ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’, ‘আলোর মিছিল’, ‘ডুমুরের ফুল’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘লাঠিয়াল’, ‘একমুঠো ভাত’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘সূর্যগ্রহণ’, ‘এখনই সময়’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘পেনশন’, ‘দহন’, ‘চণ্ডীদাস ও রজকিনী’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘টাকা আনা পাই’, ‘স্বরলিপি’, ‘তিন কন্যা’, ‘মিস লংকা’, ‘জীবন পরীক্ষা’, ‘জীবন সংসার’ ও ‘লাইলি মজনু’। যাঁর অভিনয় সবাইকে মুগ্ধ করে, সেই ববিতা জানালেন দেশ–বিদেশের তাঁর প্রিয় ১০ জন পরিচালকের নাম, জানালেন কেন তাঁরা প্রিয়। ববিতার কাছ থেকে তাঁর প্রিয় ছবির গল্প শুনেছেন মনজুর কাদের।
সত্যজিৎ রায়
আড়াই শর বেশি ছবিতে অভিনয় করা ববিতা তাঁর প্রিয় পরিচালকের তালিকায় এগিয়ে রেখেছেন সত্যজিৎ রায়কে। এই পরিচালকের ‘অশনি সংকেত’ সিনেমায় অভিনয়ের কারণে তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগও হয়েছে ববিতার। এখনো সময় পেলে সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা দেখেন ববিতা। দেশবরেণ্য এই অভিনয়শিল্পীর মতে, সত্যজিৎ রায় অলরাউন্ডার। সারা পৃথিবীর মধ্যে তিনি অন্যতম শ্রেষ্ঠ একজন পরিচালক। তিনি যেসব বিষয় নিয়ে ছবি বানিয়েছেন, সবই অন্য রকম; তাঁর শিল্পী বাছাই, গল্প, চিত্রনাট্য, ক্যামেরার কাজ।
ববিতা বলেন, ‘আমি যখন “অশনি সংকেত” করতে গিয়েছিলাম, তখন আমি একদম ইনোসেন্ট ছিলাম। সিনেমার অত কিছু বুঝতামও না। তার কাজের ধরন আমাকে অবাক করেছে, মুগ্ধ করেছে। এককথায় বলতে গেলে, তিনি খুবই পারফেকশনিস্ট একজন পরিচালক। তাঁর চিত্রনাট্যের একটা দিক আমার ভালো লাগত, বাঁ পাশে লেখা থাকত, শর্টটা কী রকম হবে, ক্যামেরার অ্যাঙ্গেলটা কেমন হবে। আর ডান পাশে লেখা থাকত চরিত্রের বর্ণনা, সংলাপ এসব।
অত্যন্ত গোছানো একজন পরিচালক। ওই বয়সে যতটুকু বুঝেছি, তাতে বলব, এখনো মনে পড়ে—যেখানে “অশনি সংকেত” ছবির শুটিং করেছি, গঙ্গাচরণের যে বাড়ি, আমি তো ভেবেছিলাম, সত্যি সত্যি বাড়ি। বাড়ির চালে লাউ, কুমড়ার গাছ,শাকসবজি, টিয়া পাখি ডাকছে। এদিক–সেদিক কুকুর ঘুরছে, সামনে ধানক্ষেত; কোথা সবুজ, কোথাও আবার সোনালি—ওই বাড়িতে প্রথমে ঢুকেই মনে করেছি, সত্যি সত্যি কোনো বাড়িতেই বুঝি শুটিং করছে। পরে বুঝলাম, এটা সিনেমার জন্যই বানানো হয়েছে। সত্যজিৎ রায়ের সব ছবিই দেখেছি। তবে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে “পথের পাঁচালী”। এরপর “চারুলতা”, “অপুর সংসার”, “তিন কন্যা”, “হীরক রাজার দেশে”, “গুপী গাইন, বাঘা বাইন”।’
বিক্রম ভাট
ববিতা জানান, থ্রিলার জনরার সিনেমা আমার পছন্দের। কেন জানি বিক্রম ভাটের সিনেমা দেখার পর তাঁর প্রতি ভালো লাগা তৈরি হয়। থ্রিলার, হররের পাশাপাশি রোমান্স ঘরানার সিনেমাও তিনি বানান।
‘১৯২০’ ছবিটি দেখার পর এই পরিচালককে ভালো লাগে। ছবিটি দেখার পর মনে হয়েছে, তিনি ভয়ের মুহূর্ত ভালোভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারেন।
একই পরিচালকের ‘রাজ’ ছবিটিও আমার ভালো লেগেছিল। মনে হয়েছে, তাঁর সিনেমাগুলোতে উত্তেজনা ও রহস্যের আবহটা দারুণভাবে তুলে ধরতে পারেন তিনি।
শ্যাম বেনেগাল
শ্যাম বেনেগালের বানানো সিনেমা খুব ভালো লাগে—জানান ববিতা। তিনি বলেন, ‘আমার যত দূর মনে পড়ে, সত্যজিৎ রায় একবার বলেছিলেন, বোম্বের মধ্যে শ্যাম বেনেগাল সেরা। আমার সবচেয়ে প্রিয় পরিচালকের কাছ থেকে যখন এমন কথা শুনলাম, তখনই তাঁর বানানো ছবি দেখা শুরু করি। “অঙ্কুর” দেখেই আমার মনে হয়েছে, সত্যজিৎ রায় কেন এমন কথা বলেছিলেন। এটি আমার দেখা অন্যতম একটা সেরা ছবি। শাবানা আজমীর অভিনয় এই ছবিতে আমাকে মুগ্ধ করেছে। এর বাইরে “ত্রিকাল”, “আরোহন”, “মান্ডি” তাঁর বানানো আমার দেখা ভালো লাগার ছবি।’
কথা প্রসঙ্গে ববিতা বলেন, শ্যাম বেনেগালের ছবি সাধারণত সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবিক বিষয়কে ঘিরে তৈরি হতো। তাঁর সিনেমাগুলোতে সাধারণ মানুষের জীবন, সমস্যা ও সংগ্রামের বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠে। তাঁর চরিত্রগুলো জটিল, বাস্তবসম্মত এবং জীবনের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিত্ব করে। সংলাপগুলো সাধারণ কিন্তু অর্থবহ, দর্শককে ভাবতে বাধ্য করে। তাঁর কাজ শুধু বিনোদন নয়, বরং সমাজচেতনা, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের বার্তা বহন করে।
আমজাদ হোসেন
পরিচালক হিসেবে আমজাদ হোসেন প্রথম বানিয়েছেন ‘জুলেখা’। তাঁর বানানো সেরা সিনেমার একটি ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, এটিতে অভিনয় করেন ববিতা। কালজয়ী ছবি হিসেবেও এটি স্থান করে নেয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে। ববিতা অভিনীত এই ছবি তাঁর প্রিয়, এমনকি পরিচালকও। আমজাদ হোসেনের সিনেমায় প্রাণ পেয়েছে রূপসী বাংলা। জীবন্ত হয়ে উঠেছে মাটি ও মানুষের যাপিত জীবনের কথকতা। তাঁর দেখার ভঙ্গিটা ছিল আলাদা, ছবিগুলোতেও তাঁর এই ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির ছাপ স্পষ্ট। এমনটা মনে করেন ববিতা।
তিনি বলেন এভাবে, ‘গ্রামীণ পটভূমির ছবির জন্য আমার কাছে আমজাদ ভাইকে সবচেয়ে সেরা মনে হয়। আবার শহুরের গল্পের ছবিও তিনি বানিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন। তাঁর সিনেমায় গ্রাম যত সুন্দরভাবে পর্দায় তুলে এনেছেন, যতটা ভালো তিনি গ্রামকে জানেন, এমন করে গ্রামকে কেউ জেনেছে বলে আমার মনে হয় না। “গোলাপী এখন ট্রেনে”, “নয়নমনি”, “সুন্দরী”, “কসাই” এসব যেমন একধরনের ছবি ছিল, তেমনি একটু অন্য ধরনের সিনেমার মধ্যে “জন্ম থেকে জ্বলছি”, “বড় বাড়ির মেয়ে”—এসব তো ভালোই ছিল।’
নারায়ণ ঘোষ মিতা
দেশের পরিচালকদের মধ্যে ববিতার পছন্দের তালিকায় আছেন নারায়ণ ঘোষ মিতাও। তাঁর ছবিতে কাজ করে তা যেমন উপলব্ধি হয়েছে, তেমনি বানানো ছবি দেখেও। নারায়ণ ঘোষ মিতাকে একজন আবেগপ্রবণ মানুষ বলেই সম্বোধন করলেন তিনি।
এই পরিচালক কেন তাঁর দৃষ্ঠিতে অনন্য এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নারায়াণ ঘোষ মিতা যখন কোনো দৃশ্য বোঝাতে আসতেন, তখন তিনি এমনভাবে বোঝাতেন, আমাদের কাঁদিয়ে ফেলতেন। আমাদের চোখের সামনে মুহূর্তে সবকিছু ভাসতে থাকে। দৃশ্য বোঝানোর এই যে অপূর্ব ক্ষমতা, তা সত্যিই অনবদ্য ছিল। একেকটা পরিচালকের একেকটা গুণ, নারায়ণ ঘোষ মিতার এই গুণের কারণে তাঁকে আমি অন্য সবার কাছ থেকে আলাদা করতে পারি।’
নারায়ণ ঘোষ মিতা ষাটের দশকে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন। এই দশকের শেষ দিকে পারিবারিক টানাপোড়েন ঘিরে তিনি নির্মাণ করেন ‘এতটুকু আশা’ ছবিটি। পরের বছর নির্মাণ করেন ‘নীল আকাশের নিচে’। এই পরিচালকের ‘আলোর মিছিল’ ও ‘লাঠিয়াল’ ছবিতে অভিনয় করেন ববিতা।
স্টিভেন স্পিলবার্গ
দেশের গুণী এই অভিনয়শিল্পী স্টিভেন স্পিলবার্গের ‘ই.টি.: দ্য এক্সট্রা টেরিস্ট্রিয়াল’ ছবিটিও দেখেছেন। কল্পকাহিনিনির্ভর এই ছবিও তাঁর দেখা অন্যতম সেরা ছবির তালিকায় আছে।
ববিতা বলেন, ‘স্পিলবার্গের গল্প বলার ক্ষমতা অভূতপূর্ব। সাধারণ বিষয়কেও এমনভাবে উপস্থাপন করেন, যা দর্শককে আটকে রাখে—“ই. টি.”, “জুরাসিক পার্ক” অন্যতম মনে করি। অ্যাডভেঞ্চার, সায়েন্স-ফিকশন, ড্রামা, হিস্টোরিক্যাল সিনেমা নির্মাণে তাঁর স্টাইল অন্য রকম। স্পিলবার্গ ভিজ্যুয়াল ইফেক্টসকে গল্পের অংশ করে নিয়েছেন। তিনি সিনেমার কেন্দ্রবিন্দুতে সব সময় চরিত্রের আবেগ, পরিবার, বন্ধুত্ব ও মানবিক সম্পর্ক রাখেন। গল্পে থ্রিলার বা অ্যাকশন থাকলেও আবেগ দর্শককে ছুঁয়ে যায়।’
জহির রায়হান
‘জীবন থেকে নেয়া’ এই একটি ছবি জহির রায়হানকে বাংলা চলচ্চিত্রে চিরস্মরণীয় করে রাখতে যথেষ্ট। জহির রায়হান এ দেশের প্রগতিশীল চলচ্চিত্র আন্দোলনের পুরোধা। তিনি শুধু চ্চিত্রনির্মাতাই নন, একাধারে কাহিনিকার, চিত্রনাট্য রচয়িতা, চিত্রগ্রাহক ও প্রযোজক।
পাকিস্তানের প্রথম রঙিন ছবি ‘সংগম’, প্রথম সিনেমাস্কোপ ছবি ‘বাহানা’ তিনিই নির্মাণ করেন। সম্পর্কের সূত্রে ববিতা তাঁর শ্যালিকা। ববিতার বড় বোন বরেণ্য অভিনয়শিল্পী সুচন্দার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে ছিলেন জহির রায়হান।
ববিতার মতে, গল্প নির্বাচন জহির রায়হানকে সবার কাছ থেকে আলাদা করে। তিনি জানান, এক ‘জীবন থেকে নেওয়া’ দিয়ে তিনি গল্প বাছাইয়ে কেন অনন্য, তা সবাইকে বুঝিয়ে দিয়েছেন।’ ববিতা বলেন, ‘আমার সঙ্গে তাঁর একটা ছবি করার কথা ছিল, “লেট দেয়ার বি লাইট”—এটা তো আর শেষ হলো না। করতে করতেই তিনি চলে গেলেন।’
সিনেমায় শুধু বিনোদন নয়, সমাজ, ইতিহাস ও মানুষের সংগ্রামকে তিনি প্রাধান্য দিতেন বলে মনে করেন ববিতা।
আলফ্রেড হিচকক
ববিতা জানান, আলফ্রেড হিচকক তাঁর প্রিয় পরিচালকদের কাতারে একদম প্রথম দিকে আছেন। এই পরিচালকের ‘দ্য বার্ডস’ ছবিটি তাঁর দেখা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগা সিনেমা।
ববিতা বলেন, ‘আমি তো ছবিটি দেখে এতটাই মুগ্ধ হয়েছি, বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি শুনেছি, হিচকককে খুব সম্মান দেওয়া হতো। তাঁকে কেন সম্মান দেওয়া হতো, কেন তিনি এতটা বিখ্যাত, তাঁর ছবিগুলো দেখার পর উপলব্ধি করতে পেরেছি। মনস্তাত্তিক, থ্রিলার ও সাসপেন্সের দক্ষতায় হিচককের সিনেমাগুলো সাধারণ গল্প হলেও তিনি সাসপেন্স এবং উত্তেজনা তৈরি করার অসাধারণ ক্ষমতা রাখতেন। “দ্য বার্ডস” ছবিটি মানুষের ভয়ের প্রতীকী হিসেবে কাজ করেছে। তবে তিনি যে শুধু দর্শককে ভয় দেখাতে চাননি, বরং মানুষের মানসিক দুর্বলতা ও অপ্রত্যাশিত বিপদের রিফ্লেকশনও দেখাতে চেয়েছিলেন।’
ববিতার দেখা আলফ্রেড হিচককের অন্য সব প্রিয় ছবির তালিকায় আছে ‘দ্য লেডি ভ্যানিশেস’, ‘শ্যাডো অব আ ডাউট’, ‘সাইকো’ এবং ‘ভার্টিগো’।
ইমতিয়াজ আলী
‘হাইওয়ে’ ছবিটা দেখার পর খুব ভালো লাগে ববিতার। তিনি জানান, ছবিটি কয়েকবার দেখা হয়েছে। আলিয়া ভাট ও রণদীপ হুদার অভিনয় তাঁকে মুগ্ধ করে। এই ছবি দেখার পর পরিচালক ইমতিয়াজ আলী সম্পর্কে জানতে পারেন ববিতা।
বলেন, ‘গল্প বলার স্টাইলটা ভালো লেগেছে। আমার কাছে মনে হয়, সাধারণ গল্পকে দার্শনিক রূপ দেন তিনি। ছোট ছোট সংলাপ ও পরিস্থিতি থেকে তৈরি হয় বড় অর্থ।’ ববিতা জানান, হাইওয়ে দেখার পর ইমতিয়াজ আলীর ‘জাব উই মেট’, ‘রকস্টার’ দেখেও ভালো লেগেছে।
সুভাষ দত্ত
দেশের মধ্যে প্রিয় পরিচালকদের তালিকায় আরও আছেন সুভাষ দত্ত। ষাট ও সত্তরের দশকের সাড়াজাগানো ‘সুতরাং’, ‘কাগজের নৌকা’, ‘বিনিময়’, ‘ডুমুরের ফুল’, ‘বসুন্ধরা’ ছবির পরিচালক তিনি। ববিতা জানান, তাঁর পরিচালিত ‘বসুন্ধরা’ দেখে খুব ভালো লেগেছিল।
ববিতা বলেন, ‘অভিনয়শিল্পীদের কাছ থেকে নিঁখুত অভিনয় আদায়ে তিনি অন্যন্য ছিলেন।’
সুভাষ দত্তকে দিয়ে আমি পরে নিজেও ছবি বানিয়েছি। এর মধ্যে আছে “ফুলশয্যা”, “আগমন”। রাজ্জাক ভাইও বানিয়েছিলেন কয়েকটি ছবি।’