প্রদর্শনীর পর কথা বলছেন নির্মাতা পরিচালক মসিহ্‌উদ্দিন শাকের। ছবি: প্রথম আলো
প্রদর্শনীর পর কথা বলছেন নির্মাতা পরিচালক মসিহ্‌উদ্দিন শাকের। ছবি: প্রথম আলো

সিডনিতে ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ প্রদর্শনী, আয়ের পুরোটাই ক্যানসার তহবিলে

সিডনিতে বাংলাদেশের কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’র এক বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার সিডনির মিন্টো শহরতলির ‘জমিদার বাড়ি’ রেস্তোরাঁয় এ আয়োজন করে চলচ্চিত্র পরিবেশক সংস্থা ‘বঙ্গজ ফিল্মস’। ‘বিগেস্ট মর্নিং টি’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত সব অর্থ অস্ট্রেলিয়ার ক্যানসার কাউন্সিলের তহবিলে অনুদান হিসেবে প্রদান করা হবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্রটির অন্যতম পরিচালক মসিউদ্দিন শাকের। ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছায়াছবি প্রদর্শনের পর তিনি দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেন এবং নির্মাণের পেছনের গল্প তুলে ধরেন। আয়োজক তানিম মান্নান জানান, বাংলা চলচ্চিত্রের প্রতি ভালোবাসা এবং একটি মহৎ উদ্দেশ্যকে এক করতেই এ আয়োজন।

আয়োজনটির প্রশংসা করে পরিচালক মসিউদ্দিন শাকের প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে হয়তো বড় অডিটরিয়াম ভাড়া করা সম্ভব হয়নি, কিন্তু আয়োজকদের মানসিকতা এবং এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসার যোগ্য। আর “সূর্য দীঘল বাড়ি” ছবিতে নারীর যে সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তা আজও প্রাসঙ্গিক। কারণ, আমাদের সমাজ এখনো নানা দূষণ থেকে মুক্ত হতে পারেনি।’

সফল চলচ্চিত্র ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’। ছবিটি ১৯৭৯ সালে মুক্তি পায়

পরিচালকের সহধর্মিণী ও সমাজকর্মী জেবুন নেসা বলেন, ‘আমরা তো বাংলাদেশে কাজ করি হেলদি লাইফস্টাইল (সুস্থ জীবনধারা) নিয়ে। আমাদের একটি সংগঠন আছে নাম “হীল—সুস্থ সবল কর্মময় জীবন”। তো এখানে যখন দেখলাম ক্যানসার কাউন্সিলের জন্য এই আয়োজন করা হয়েছে, আমার ব্যক্তিগতভাবে খুব ভালো লেগেছে। একই সঙ্গে একটি অসাধারণ ছবি দেখা এবং ক্যানসার কাউন্সিলের মতো একটি মহৎ উদ্দেশ্যের সঙ্গে জড়িত হওয়া খুবই আনন্দের।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শক সিডনির সংগীতশিল্পী মামুন হাসান খান তাঁর অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘পরিচালকের উপস্থিতিতে ছবিটি দেখতে পারাটা এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এমন একটি মহৎ উদ্দেশ্যে আয়োজনটি হওয়ায় আমাদের আনন্দ আরও বেড়েছে। তবে ছবি দেখার স্থানটি আরও ভালো জায়গায় হলে ভালো হতো।’
আবু ইসহাকের কালজয়ী উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ বাংলাদেশের প্রথম সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। মসিউদ্দিন শাকের ও শেখ নিয়ামত আলী যৌথভাবে ছবিটি পরিচালনা করেন।