নামিরা নাইমের (বামে) সেলফিতে হানিয়া আমির (মাঝে)
নামিরা নাইমের (বামে) সেলফিতে হানিয়া আমির (মাঝে)

হানিয়া আমিরের সঙ্গে কী কথা হলো নাঈম–শাবনাজ কন্যার

নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক নাঈমের আরেকটি পরিচয়, তিনি নবাব স্যার সলিমুল্লাহর প্রপৌত্র। দেশের চলচ্চিত্রের একসময়ের ব্যস্ত নায়ক নাঈম এখন আর অভিনয়ে নিয়মিত নন। নিজের মতো করে পরিবার নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটে তাঁর। নাঈমের দুই সন্তানের একজন নামিরা নাঈম দেশে পড়াশোনা শেষ করে পোশাকের প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন, আরেকজন মাহাদিয়া নাঈম এখন দেশের বাইরে আছেন। নবাব পরিবারের বংশধর নামিরার সঙ্গে দেখা হয়েছে পাকিস্তানের জনপ্রিয় তারকা হানিয়া আমিরের সঙ্গে। তাঁরা একসঙ্গে তিন ঘণ্টার বেশি সময় কাটিয়েছেন। ঢাকার আহসান মঞ্জিলে কাটানো সময়টা বেশ উপভোগ্য ছিল বলে জানালেন নামিরা।

হানিয়া আমির

এ মুহূর্তে ঢাকায় আছেন হানিয়া আমির। তাঁকে নিয়ে একটি ভিডিও ভ্লগ বানিয়েছেন রাফসান দ্য ছোটভাই। এই ভিডিও ভ্লগ বানানোর সূত্র ধরে নামিরার সঙ্গে কথা হয় হানিয়া আমিরের। এ প্রসঙ্গ উঠতেই নামিরা বললেন, ‘রাফসান একটি ভিডিও ভ্লগ বানাবে, তাঁর ইচ্ছা ঢাকার আহসান মঞ্জিলে সেটির শুটিং করবেন। কীভাবে যেন জেনেছে, আমাদের সঙ্গে নবাব পরিবারের সম্পর্কের কথা। এরপর আমার সঙ্গে কথা বলে। তারপর শুটিংয়ের অনুমতি মেলে। সিদ্ধান্ত হয়, একদম সকাল সকাল শুটিং করতে হবে। এরপর আমরা ভোর সাড়ে চারটায় আহসান মঞ্জিলে যাই। হানিয়া আসেন সাড়ে পাঁচটার দিকে। টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা শুটিং হয়। আমরা আহসান মঞ্জিল থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে বেরিয়ে পড়ি।’

হানিয়ার সঙ্গে অনেক গল্প হয়েছে। নবাব পরিবারের সন্তান হিসেবে অনেক কিছুই শুনেছে। পাকিস্তানেও আমাদের আত্মীয়স্বজনেরা আছেন, সেই গল্পও শুনল। পাকিস্তানি ডিজাইনার আমির আদনান এবং অভিনয়শিল্পী ও গায়ক আলী জাফরের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা পারিবারিক, তাঁদের নিয়েও আলাপ হলো।
নামিরা নাঈম
হানিয়া আমির ও নামিরা নাইম

কথা প্রসঙ্গে নামিরা নাঈম প্রথম আলোকে বললেন, ‘হানিয়ার সঙ্গে অনেক গল্প হয়েছে। নবাব পরিবারের সন্তান হিসেবে অনেক কিছুই শুনেছে। পাকিস্তানেও আমাদের আত্মীয়স্বজনেরা আছেন, সেই গল্পও শুনল। পাকিস্তানি ডিজাইনার আমির আদনান এবং অভিনয়শিল্পী ও গায়ক আলী জাফরের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা পারিবারিক, তাঁদের নিয়েও আলাপ হলো। ইনস্টাগ্রাম থেকে তাঁর একরকম ব্যক্তিত্বের ব্যাপারে উপলব্ধি করেছি, কিন্তু সামনাসামনি অন্য রকমভাবে তাঁকে আবিষ্কার করলাম। খুই চমৎকার, প্রাণখোলা একজন মানুষ। অনেক মজা করেছি আমরা।’

হানিয়া আমির
খালি পেটে নাগা মরিচের ঝালমুড়ি বেশ মজা করে খেয়েছে। ফুচকা খেয়েছে ৩–৪টা নাগা মরিচ দিয়ে। আমরা তো মরিচের ঝালে উহু আহ করছি। অথচ এই ঝালে যেন হানিয়ার জন্য খুবই স্বাভাবিক।

নামিরা জানালেন, হানিয়া আমির ঢাকার পথের ধারের খাবার বেশ আনন্দ নিয়ে উপভোগ করেছেন। বললেন, ‘একদম সকালে যখন হানিয়া আমির শুটিং করতে আসে, শুনেছি তখনো নাশতাও করেনি। কিন্তু খালি পেটে নাগা মরিচের ঝালমুড়ি বেশ মজা করে খেয়েছে। ফুচকা খেয়েছে ৩–৪টা নাগা মরিচ দিয়ে। আমরা তো মরিচের ঝালে উহু আহ করছি। অথচ এই ঝালে যেন হানিয়ার জন্য খুবই স্বাভাবিক।’