
পাকিস্তানি শিল্পী শাফকাত আমানত আলীর সঙ্গে একটি দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিলেন বাংলাদেশের সিঁথি সাহা। শিরোনাম ‘রাত জাগা পাখি’। মেরিল নিবেদিত গানটির মিউজিক ভিডিও আসছে আজ। সোমবার বিকেলে যখন কথা হয়, তখন গানটির প্রকাশ অনুষ্ঠানেরই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন শিল্পী।
মিউজিক ভিডিওতে তো শাফকাত আমানত নেই।
শাফকাত আমানত থাকলে ভালো হতো। করোনার কারণে তিনি আসতে পারেননি। আসতে পারলে দুজনে পারফর্ম করে কাজটি করতে পারতাম। না আসার কারণে অভিনয় বেজ করে মডেল নিয়ে কাজটি করেছি। অভিনয়ের মধ্য দিয়ে গানটি ভিডিওতে তুলে আনা হয়েছে। তবে সামনে যে তিনটি গান আমরা দুজন করছি, আশা করছি সব কটির ভিডিওতেই শাফকাত আমানত থাকবেন।
পূজার সময় বের হওয়া আপনার একটি গানের ভিডিও অভিনয়ভিত্তিক ছিল। এবারও করলেন। অভিনয়ের দিকে দুর্বলতা আছে?
থাকতেই তো পারে। আমি এর আগে মোস\B্তফা সরয়ার ফারুকী ও আশফাক নিপুণের নাটকে অভিনয় করেছি। ২০১৭ সালে আশফাক নিপুণ পরিচালিত দ্বন্দ্ব সমাস নাটকটি ছিল আমার শেষ অভিনীত নাটক। এ ছাড়া আমি বিজ্ঞাপনেও মডেল হয়েছি। গানে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ার কারণে আর অভিনয় করা হয়নি। কিন্তু অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা, ভালো লাগাটা রয়ে গেছে। অভিনয়ের জন্য ইদানীং বেশ কিছু প্রস্তাব আসছে। দু-একটি কাজ করার ইচ্ছা আছে।
আর গান?
গত মাস থেকে পুরোদমে স্টেজ শো শুরু হয়েছে। চলতি মাসে ছয়টি শো করলাম। সামনের মাসের জন্য এখনই চারটি শোয়ের কথা চূড়ান্ত হয়েছে। গানের পাশাপাশি স্থাপত্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠানে এইচ আর কমিউনিকেশন পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েছি। সেখানেও সময় দিতে হয়।
চাকরিতে কীভাবে সময় দিচ্ছেন?
সিঁথি সাহার পরিচয় গান গেয়ে। সেই পরিচয়ের কারণেই আমাকে কাজে নিয়েছেন। এখন গান বাদ দিয়ে তো আমি পুরো সময় সেখানে দেব না। গান ও উপস্থাপনার জন্য কোম্পানি থেকে ছাড় আছে। ফ্রি সময়টুকুই অফিস করি। এভাবেই তাঁদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।
স্বামীর সঙ্গে আপনাকে দেখা যায় না।
গান দিয়ে আমার পরিচয়। গানের জন্যই মানুষ আমাকে ভালোবাসে। সুতরাং গানের বিষয় ছাড়া পারিবারিক বিষয় সবার সামনে আনতে চাই না। ভালোবাসার মানুষ ভালোবাসার জায়গায় থাকুক। ভালোবাসাকে বেশি বেশি সামনে আনলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। শ্রোতারা আমাকে ভালোবাসেন, চেনেন, জানেন। আমার স্বামী কে, বয় ফ্রেন্ড কে—তা শ্রোতাদের জানার দরকার আছে কি?
চলচ্চিত্রের গানে আপনাকে কম দেখা যায়।
হ্যাঁ, কমই কাজ করা হয়। এখানে দু-একজন শিল্পীই বেশি গান করেন। আমি বেশ কয়েকবার চলচ্চিত্রের গান করতে গিয়ে রাজনীতির শিকার হয়েছি। এমনও হয়েছে, একটি গান করার পর ছবির নায়িকা বা অন্য কারও প্রভাবে আমার গলা ফেলে দিয়ে ওই গান অন্য আরেকজনকে দিয়ে গাওয়ানো হয়েছে। আবার কথাবার্তা চূড়ান্ত হওয়ার পরেও অদৃশ্য ইশারায় কোনো কোনো ছবির গান থেকে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অনেক সময় মেধার চেয়ে লবিংটাই বেশি এখানে।