>আজ ঢাকায় মুক্তি পাচ্ছে মাসুদ পথিক পরিচালিত ছবি ‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’। এ ছবিতে অন্যতম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জ্যোতিকা জ্যোতি। নতুন ছবি ও সাম্প্রতিক নানা বিষয় নিয়ে কথা বললেন এই অভিনেত্রী।
নতুন ছবির জন্য অভিনন্দন। শুনেছি ছবিতে একজন কিষানির চরিত্রে দেখা যাবে আপনাকে। বাস্তবে যদি ওই জীবন পান, কেমন লাগবে?
ধন্যবাদ। জীবনে কখন কী পরিস্থিতি আসে, সেটা বলা যায় না। কিন্তু আমি সব সময়ই গ্রামে স্থায়ী হতে চেয়েছি। কৃষি আমার পছন্দের কাজ, এটা করতে আমার মন চায়। যখন অভিনয় ছেড়ে দেব, তখন গৌরীপুরে গিয়ে কৃষিকাজ করব। পারিবারিকভাবে আমরা ভাইবোনেরা সেখানে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
নতুন ছবির খবর কী?
ঢাকা এবং কলকাতার দুজন পরিচালকের সঙ্গে দুটি ছবি নিয়ে কথাবার্তা চলছে। কথা পাকা হলে জানাব।
আপনার আগের ছবি রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্তকে যথেষ্ট কষ্ট সহ্য করে মুক্তি পেতে হয়েছে। মায়া: দ্য লস্ট মাদার–এর কষ্ট কী?
ছবিটা মাত্র ৭টি হল পেয়েছে। এটি অনেক বড় ক্যানভাসের ছবি। সরকারি অনুদানের অর্থ দিয়ে এটি করা সম্ভব হয়নি। বাজেট যদি আর একটু বাড়ানো যেত, আরও বিশদভাবে সবটা দেখানো যেত, কারিগরি দিক দিয়ে ছবিটা আরও সমৃদ্ধ হতো। যদিও পরিচালক তাঁর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন।
এটি সরকারি অনুদানে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের ছবি, তবু এত দুর্দশা কেন এর?
বুঝতে পারছি না। মুখে সবাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, কিন্তু কাজের সময় সেটার প্রতিফলন দেখি না। এ রকম একটি ছবির নির্মাতা হয়েও মাসুদ পথিককে ভোগান্তির ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে। এটা দুঃখজনক।
কাল মুক্তির দিনে কোথায় ছবি দেখবেন? পরিকল্পনা কী আপনার?
বলাকা সিনেমায় দেখব আশা করি। আমি আসলে সবগুলো হল ঘুরে ঘুরে ছবিটা দেখার চেষ্টা করব, দর্শকদের সঙ্গে কথা বলব, ছবি নিয়ে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করব।