Thank you for trying Sticky AMP!!

সব অবস্থায় পজিটিভিটি খুঁজতে চেষ্টা করি

বিপ্লব এখন বাস করছেন নিউইয়র্কে। ছবি: সংগৃহীত

তিন বছর পর নতুন গান প্রকাশ করেছেন বিপ্লব। গত শুক্রবার ছিল তাঁদের গানের দল প্রমিথিউসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সে উপলক্ষে বিপ্লব নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছেন ‘কথা রেখো বন্ধু’ গানটি। নতুন গান ও নানা প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন এই শিল্পী।

‘কথা রেখো বন্ধু’ গানটি প্রসঙ্গে বলুন।
গত বছর শীত শুরু হওয়ার আগে গানটি প্রকাশের কথা ছিল। ভিডিও করার পরিকল্পনাও ছিল। ব্যস্ততার কারণে হয়ে ওঠেনি। বাংলাদেশে সবাই চেনাজানা থাকলেও এখানে কারা ভিডিও বানায়, সেটাও জানতাম না। হঠাৎ আলী আফরোজের সঙ্গে কথা হয়। এ তরুণই আমার ভিডিও নির্মাণের পরিকল্পনা করে।

নিউইয়র্কের কোথায় শুটিং করেছেন?
নিউইয়র্কের নর্থ সাউথ লেক অব ক্যাটসকিল মাউন্টেইন এবং সানকিন মিডো স্টেট পার্কে। টানা দুদিন গানটির শুটিং করেছি।

প্রমিথিউসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষেই গানটি করেছিলেন?
ঈদে গানটি প্রকাশের পরিকল্পনা ছিল। আমার সঙ্গে আবার ফেসবুকে ভক্তদের প্রায়ই কথা হয়। তাঁরা নতুন গান কবে আসছে, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন করত। তারাই জিজ্ঞাসা করছিল, কী রকম গান করছি, কবে ছাড়ব, অপেক্ষা করছি—এমন অনেক কথা। এর মধ্যে হুট করে একজন বলল, গান যদি ছাড়েন, তাহলে ঈদের আগে প্রমিথিউসের জন্মদিনে ছাড়বেন। আমিও ভাবলাম, সুন্দর প্রস্তাব তো। সেটাই করলাম।

প্রমিথিউস ব্যান্ডের ভোকাল বিপ্লব। ছবি: বিপ্লবের সৌজন্যে

এটা তো একক, ব্যান্ডের নতুন গান কবে আসবে?
অচিরেই, আমরা প্রমিথিউস ব্যান্ডের সদস্যরা একটা লাইভ আড্ডায় আসব। সেটা ঈদেও হতে পারে। সেখানেই আমাদের পরবর্তী পরিকল্পনার কথা জানাব।

ট্যাক্সি জবের পাশাপাশি নিউইয়র্কে সংগীতচর্চার সময় পান?
সংগীতচর্চা মস্তিষ্কে অনুরণিত হয়। কাজের ফাঁকে ফাঁকে গানের পরিকল্পনা করি। দেখা গেছে, আমি কাজের ফাঁকে কোথাও বসে আছি, তখন গান লিখছি, সুর নিয়ে ভাবছি। কাজ এলে আবার খাতা বন্ধ করে চলে যাই। গান আমার মস্তিষ্কে ঘুরতে থাকে। বাংলাদেশে থাকতে কন্টিনিউ গানের ভেতরে ডুবে থাকতাম, এখন তা হয় না। কাজ ও গান সমানতালে চলতে থাকে।

যে পেশায় আছেন, সেটা আপনাকে গানের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে?
আমি বেশ উপভোগ করছি। আমি সব সময় সব অবস্থায় পজিটিভিটি খুঁজতে চেষ্টা করি। এখন সময়ের বণ্টন করতে পারছি চমৎকার। নতুন নানা কিছু করার স্পিরিট পাচ্ছি।

আগে গান গাইতে অতিথি হয়ে নিউইয়র্কে যেতেন। এখন সেখানেই থাকছেন। সেখানকার বাঙালিরা আপনাকে কীভাবে গ্রহণ করেছেন?
সবার সঙ্গে তো আর দেখা হয় না। রাস্তায় হঠাৎ দেখা হলে তাঁরা বেশ আগ্রহ নিয়ে কথা বলে। প্রথম আলোয় আমার ট্যাক্সি জবের ফিচার প্রকাশের পর সেটা পড়ে খুব প্রশংসা করেছে, সাধুবাদ জানিয়েছে। অকপটে সবকিছু খুলে বলায় গর্বিত হয়েছে। এমনিতে কোনো অনুষ্ঠান হলে বাঙালিদের সঙ্গে চমৎকার আড্ডা হয়।