বন্ধু হারিয়ে একাকিত্বে ভুগে অভিনয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিলেন তিনি

হলিউডের তরুণ প্রজন্মের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে অল্প সময়েই প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন ট্যারন এগারটন। মাত্র এক দশকের ক্যারিয়ারেই তিনি প্রমাণ করেছেন, প্রতিভা আর পরিশ্রম মিললে বড় পর্দায় আলাদা জায়গা তৈরি করা সম্ভব। দেখে নিতে পারেন তাঁর জানা–অজানা কথাগুলো...
যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের ছোট শহর থেকে উঠে আসা এই অভিনেতার যাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালে। প্রথম তাঁকে দেখা যায় টেলিভিশন সিরিজ ‘লুইস’–এ। তবে অভিনয়ে আসার তাঁর কোনো ইচ্ছাই ছিল না।
ছবি: আইএমডিবি
শৈশবে মঞ্চে তাঁকে দেখা গেছে। সেটা শুধুই আগ্রহে। পরে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে প্রথম টিভি সিরিজে নিজেকে সে অর্থে তুলে ধরতে পারেননি। এর দুই বছর পরেই ভাগ্যের মোড় ঘুরে যায় ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কিংসম্যান: দ্য সিক্রেট সার্ভিস’ সিনেমা দিয়ে।
ক্যারিয়ার শুরুর ছয় বছর পরে ‘রকেটম্যান’ সিনেমায় অভিনয় করে গোল্ডেন গ্লোবে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান। যা তাঁর ভাগ্য বদলে দেয়।
ক্যারিয়ারে তাঁকে সবচেয়ে বদলে দিয়েছিল এলটন জনের বায়োপিক ‘রকেটম্যান’ সিনেমাটি। ট্যারন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘সিনেমাটি আমাকে শিখিয়েছে নিজেকে ভয় না পেতে, নিজের সত্যিকারের সত্তাকে মেনে নিতে। সিনেমার মধ্যে আমি শিল্পীসত্তার নতুন রূপ খুঁজে পেয়েছি।’
দুই বছর বয়সেই তিনি দেখেছেন, মা-বাবার বিচ্ছেদ। পরে ১২ বছর বয়সে অ্যাবেরিস্টউইথে চলে আসেন পড়াশোনা করতে। সেই সময়টা তাঁর জীবনের কঠিনতম সময় ছিল। কারণ, বন্ধুদের ছেড়ে এসে তিনি একাকিত্বে ভোগেন।
একাকিত্ব থেকে বের হতে একসময় তিনি অভিনয়ের দিকে ঝোঁকেন। এই অভিনেতার কথায়, ‘আমি চেষ্টা করেছি সামাজিক হয়ে অভিনয়ের মধ্যে বন্ধুর মতো কাউকে খুঁজতে।’ তাঁর জন্ম ১৯৮৯ সালের ১০ নভেম্বর।